টুডে নিউজ সার্ভিস, পূর্ব মেদিনীপুরঃ উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুর। খাপ পঞ্চায়েতের ছায়া পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে। গ্রাম কমিটি থেকে ফতোয়া জারি করা হয়েছে। মহিষাদলের ঘটনার পরও এবার পটাশপুর। অবশেষে রান্না করা খাওয়া নিয়ে স্থানীয় একটি মন্দির ও কমিটির সামনে ধর্ণায় বসেছে গ্রামবাসীরা। খাপ পঞ্চায়েত মূলর উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানায় দেখা যায়। হরিয়ানায় এই নিয়ে প্রবল আন্দোলন হয়েছিল এক সময়।
এবার এমনি ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়িকা পাটনা গ্রামে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে হাজির পটাশপুর থানার ওসি দীপক চক্রবর্তী ও বিডিও শঙ্কু বিশ্বাস। পুলিশ এখনও পর্যন্ত মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।
প্রসঙ্গত, এই গ্রামের বাসিন্দা তপন বিশাইয়ের বাড়িতে পুজো উপলক্ষে বুধবার গ্রামের সকল মানুষদের ভোগ খাওয়ার আয়োজন করা হয়। তবে এই ভোগের জন্য গ্রাম কমিটির সদস্যদের ডাকা হয়নি। এর পাশাপাশি কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তারপরই গ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে ফতোয়া জারি করা হয় যে, এই অনুষ্ঠানে কোনও গ্রামবাসী যাওয়া যাবে না। গ্রাম কমিটির আদেশ অমান্য করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। এটা শোনার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন গ্রামবাসী থেকে পরিবারের সদস্যরা। ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা বিচার চেয়ে প্রতিবাদে নামেন।
গ্রামের মন্দিরের সামনে যাবতীয় খাবার নিয়ে বসে পড়েন। তাদের সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হন গ্রামের বাসিন্দারাও। এই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে আসেন পটাশপুরের বিডিও শঙ্কু বিশ্বাস ও পটাশপুর থানার ওসি দীপক চক্রবর্তী। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। পরিবারের সদস্য তপন বিশাই বলেন, “বাড়িতে মহাপ্রভু এসেছিলেন। তাই গ্রামবাসীদের দু’হাজার লোকের রান্না করা খাবার পরিবেশন করার জন্য আয়োজন করা হয়েছিল। গ্রাম কমিটি থেকে জানানো হয় আমাদের জানানো হয়নি। গতকাল একটি মিটিং বসিয়ে ফতেয়া জারি করে। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান মা আয়োজন করেছিল। ঘটনার পর থেকে মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”