Breaking News

৬ বছরের নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার দাদু

 

   

পাপু লোহার, কাঁকসাঃ এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় ধৃত ব্যক্তিকে শনিবার মহকুমা আদালতে পেশ করল কাঁকসা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃত ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। তার বাড়ি পানাগড় গ্রামের পাঠানপাড়ায়। কাঁকসা থানার পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, ধৃত ব্যক্তি গত দুদিন আগে নিজের দাদার মেয়ের মেয়ে বছর ৬-এর নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে এবং ওই নাবালিকাকে রীতিমতো ভয় দেখানো হয়। ভয়ের চোটে ওই নাবালিকা বাড়িতে কিছু না বললেও তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই নাবালিকার পরিবার শুক্রবার তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসকের সামনে সমস্ত বিষয় বলে ওই নাবালিকা। চিকিৎসকেরা ওই নাবালিকার পরিবারকে ধর্ষণের ঘটনার কথা জানায়। এরপরই ওই নাবালিকার পরিবার কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। নির্যাতিতা নাবালিকাকে চিকিৎসার জন্য এবং ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। এই ঘটনার ছড়াছড়ি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। 

নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাঁকসা থানার পুলিশ শেখ আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করে ও শনিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পাঠায়। যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের দোষ অস্বীকার করেছে। 

ওই নাবালিকার মা জানিয়েছেন, তার মেয়ে অসুস্থ বোধ করলে তাকে প্রথমে পানাগড় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে বর্ধমানে ডাক্তার দেখানো হলে। চিকিৎসকেরা ওই নাবালিকার মাকে ধর্ষণের ঘটনার কথা বলে।

এরপরেই শুক্রবার কাঁকসা থানায় নাবালিকার মা লিখিত অভিযোগ জানালে, শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযোগের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কাঁকসা থানার পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি সম্পর্কে ওই নাবালিকার দাদু হয় বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা। নাবালিকার মা জানিয়েছেন ধৃত ব্যক্তি গত দুদিন আগে তার মেয়েকে মোবাইলে ভিডিও দেখানোর নাম করে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এমনকি তাকে অশ্লীল ভিডিও দেখানো হয়। এমনকি ওই নাবালিকাকে রীতিমত ভয় দেখানো হয়। বাড়িতে বলে দিলে তাকে ও তার মা কে মারধোর করা হবে। ভয়ের চোটে ওই নাবালিকা বাড়িতে কিছু না বললেও তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই নাবালিকার মা শুক্রবার তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসকের সামনে সমস্ত বিষয় সামনে আসে। এরপরই ওই নাবালিকার পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে এবং ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে শনিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পাঠালে তাকে দুদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় মহকুমা আদালতের বিচারক।

যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের দোষ অস্বীকার করেছে। অপর দিকে কাঁকসা থানায় অভিযোগ করার জন্য ওই নাবালিকার মাকে রীতিমতো হুমকির মুখে পড়তে হোচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নাবালিকার মা।

তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, মেয়ের সাথে অন্যায় কাজ করার জন্য অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে তিনি প্রশাসনের দারস্থ হওয়ায় তারই এক আত্মীয় এক প্রকার হুমকি দিচ্ছে ফোনের মাধ্যমে। তিনি নাকি যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ সাজানো। উল্টে নাবালিকার মায়ের চরিত্র খারাপ সেই কথা রটানো হোচ্ছে তার বাড়ির চারপাশে।

About Burdwan Today

Check Also

ইলেকট্রিক শকে মৃত্যু

টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ ইলেকট্রিক শক খেয়ে মৃত্যু এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *