বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ সাতসকালে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় স্বামীর দেহ। এরপর সন্ধ্যায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় স্ত্রীর দেহ। স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় নদীয়ার চাকদা থানার রথতলা এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম দেবাশীষ রায়(৩৭)। মৃত স্ত্রীর নাম বর্ণালী রায় (২৩)। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর ২৪ পরগনার পাল্লা গ্রামের দেবাশীষ রায়-এর সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় চাকদা নারকেলডাঙ্গার বর্ণালী ঘোষের। দেবাশীষ রায় কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপে রেলের চাকরি করেন।
অভিযোগ, স্বামী দেবাশীষ রায় স্ত্রীকে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে রাখতে চায় কিন্তু, বর্ণালী শ্বশুরবাড়িতে থাকবেন না বলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা বাঁধতো। এরপর চাকদার রথতলা এলাকায় মাসখানেক আগে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন স্ত্রী ও মাকে নিয়ে। শনিবার সকালে চাকদা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেবাশীষ ও তার মা নীহারবালা রায়-কে নিয়ে আত্মহত্যা করতে গেলে কোনোক্রমে বেঁচে যান মা নীহারবালা, ছেলে দেবাশীষ মারা যায় ট্রেনের ধাক্কায়। সকাল থেকেই মেয়ের ফোনের বারবার যোগাযোগ করতে গিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে সন্ধ্যায় মেয়ের বাড়ির লোকেরা খোঁজ করতে গিয়ে রথতলা এলাকায় ওই ভাড়া বাড়িতে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া। এরপর জানালা দিয়ে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় বর্ণালী রায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে। পরে চাকদা থানা পুলিশ শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দেহটি উদ্ধার করে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে ওই রেলকর্মীর মা কি কারনে আহত হলেন তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
Social