দেবজিৎ দত্ত, বাঁকুড়াঃ তৃতীয় শ্রেনীর এক ছাত্রীকে স্কুলে শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্কুলের এক শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করলেন স্থানীয়রা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার শ্যামদাসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার স্কুলে গিয়েছিল স্থানীয় তৃতীয় শ্রেনীর এক ছাত্রী। স্কুলের টিফিনের পর অন্যান্য পড়ুয়ারা যখন স্কুলের বাইরে খেলা করছিল তখন ওষুধ দেওয়ার নাম করে স্কুলের শিক্ষক প্রদীপ দে ওই ছাত্রীকে স্কুলের ক্লাসরুমের ডেকে নিয়ে যান। ক্লাসরুমের ভেতর ওই শিক্ষক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি অন্যান্য পড়ুয়াদের নজরে আসে। এরপর ছাত্রীর পরিবারকে বিষয়টি জানালে ছাত্রীর পরিবার ও অন্যান্য অভিভাবকরা স্কুলে যান। কিন্তু ওদিন অভিযুক্ত শিক্ষক স্কুলে আসেননি। পরেরদিন ওই শিক্ষক স্কুলে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এমনকি ওই শিক্ষককে মারধরও করা হয়। পরে জয়পুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে শিক্ষকের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযুক্ত শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। স্কুলের তরফে বিষয়টি ইতিমধ্যেই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।।
Social