দেবজিৎ দত্ত, বাঁকুড়াঃ মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান। মুসলিম তার নয়ণ মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।। প্রায় দু থেকে তিনশো বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উজ্জ্বল নির্দশনের ধারা আজও বহমান। এই পীরবাবার উরসে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এক মহামিলনের তীর্থভূমি হয়ে ওঠে বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের সিমুলিয়া দশরথবাটি গ্রামের এই উৎসব সব বর্ণের, সব ধর্মের মানুষের। সিমুলিয়া দশরথবাটি পীরবাবার মাজার যেন অমৃতকুম্ভ।
মানুষের ধর্মীয় আবেগ এবং বিশ্বাসের তীর্থভূমি যেন এই মাজার। এলাকার যে কোন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে যাত ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই এই পীরবাবার মাজারে প্রার্থনা করে। যখন সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতা সমগ্র দেশকে গ্রাস করেছে সেখানে ইন্দাস ব্লকের সিমুলিয়া দশরথবাটি পীরবাবার মাজার মানবতার এক উজ্জ্বল নির্দশন হয়ে রয়েছে। সিমুলিয়া, দশরথবাটি গ্ৰামের ছেলে ও মেয়েদের বিয়ের পর দিন পীরবাবার মাজারের সিন্নি খেয়ে তবেই বাড়িতে ঢুকবে এছাড়াও কোনো বাচ্ছা ছেলে মেয়েদের ভুজনো হলে প্রথমেই পীরবাবার মাজারে নিয়ে যেতে হয় এই রীতি আজও রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ধূপ এবং সন্ধ্যা দেওয়ার লাইন পড়ে হিন্দু মা ও বোনেদের। পীরবাবার মাজারের চাদর মাথায় নিয়ে পথ পরিক্রমায় অংশগ্রহণ করে আট থেকে আশি বছরের সাধারণ মানুষ।।
Social