রবিশঙ্কর ঘোষ, বীরভূমঃ বীরভূম জেলার নানুর বিধানসভার পাপুরী গ্রামের জনসেবক কাজল শেখ, একধারে তিনি এলাকার দুঃস্থ মানুষের মসিহা, অপরদিকে সামাজিক সম্প্রীতির মিশাল। নিজে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ হয়েও তিনি যে “জনসেবামূলক” কাজে মানবকল্যাণ নিয়জনে, মানবকল্যাণের হিতার্থে নিজের এলাকায় নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।আমরা তাই দেশ ও দশের কাছে এই সম্প্রীতির নজির তুলে ধরতে হাজির হই রবিনহুডের এলাকায়।
তাই ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় দিনে সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। ভাই-বোনের পবিত্র সম্পর্ক স্নেহের প্রতীক ভাইফোঁটা অটুট রাখুক ভাই-বোনের পবিত্র বন্ধনকে।
শহীদ সাজু মেমোরিয়াল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে শহীদ সাজুর স্মৃতির উদ্দেশ্যে মেগা রক্তদান শিবিরে জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া পালন করা হলো। সম্প্রীতির বাংলাতে আজও আজানের শব্দ মিশে যায় মন্দিরের শঙ্খধ্বনিতে।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও পশ্চিম বর্ধমানের মোট দুটি ব্লাড ব্যাঙ্কের সহযোগীতায় প্রায় ২১০ জন রক্তদাতা আজকের বিশেষ দিনে রক্তদান করেন। এদিনের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহীদ পরিবারের সন্তান তথা কেতুগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক সেখ শাহনেওয়াজ, মূল উদ্যোক্তা জনসেবক কাজল সেখ-এর পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণসহ সোসাইটির শুভাকাঙ্খীরা।
জননেতা কাজল শেখের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, এলাকার যারা হিন্দু ও মুসলিম ধর্মপ্রাণ সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন। এটা তাকে হৃদয় থেকে ব্যথিত করেছিল। তাই তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে এই এত বড় আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এবার একবার ভেবে দেখুন কতটা গভীরে তিনি ভেবেছেন, নিজের এলাকা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের জন্য তার মন কতটা কাঁদে, বিশেষ করে বর্তমান সামাজিক সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতার আবহে তার এই উদ্যোগ কত বড় নজির সৃষ্টি করলো।
তাই বর্ধমানটুডে-র পক্ষ থেকে তার এই সমাজের প্রতি অনন্য অবদানের জন্য নতমস্তকে সেলাম জানাই, জানাই তার এই মহৎ উদ্যোগের কাছে, আর এই আশা রাখি যেন এই নজির সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা আবার যেন উদাত্ত কণ্ঠে গাইতে পারি- “মোরা এক বৃন্তে দুইটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান।”