পাপু লোহার, কাঁকসাঃ দুর্নীতিগ্রস্থ শ্রমিক নেতাদের জায়গা দেওয়া যাবে না কারখানায়, প্রতিবাদে দুর্গাপুরের কাঁকসার পানাগড়ে রেলের স্লিপার তৈরির একটি বেসরকারি কারখানায় তৃণমূল কর্মীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এলো। মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুর ছাড়তেই এক চরম বিড়ম্বনাতে জেলা আই.এন.টি.টি.ইউ.সি নেতৃত্ব। কারখানার গেটে একটি কর্মসূচী ও দীর্ঘদিন ধরে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বুধবার পুনরায় নতুন করে পানাগড় স্টেশন সংলগ্ন জিপিটি ইনফ্রা প্রজেক্ট লিমিটেড নামের রেলের স্লিপার তৈরির কারখানায় কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা ছিল।
এদিনের এই আলোচনা সভায় উপস্থিত হন জেলা আই.এন.টি.টি.ইউ.সি-র সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, আর তার সামনেই তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মী ও নেতারা নিজেদের বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে এক শ্রেণীর তৃণমূল নেতা টাকার বিনিময়ে শ্রমিকদের স্থায়ী চাকরি করিয়ে দিচ্ছে, আবার চাকরি করিয়ে দেওয়ার নামে হাজার হাজার টাকা তোলা নিচ্ছে খোদ তৃণমূল কর্মীদের কাছ থেকেই, অবিলম্বে এই নেতাদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন তারা। নিমেষে মধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, তৃণমূলের পাল্টা গোষ্ঠীর লোকজন মিথ্যে অভিযোগ বলে স্লোগান শুরু করে। দুই পক্ষের মধ্যে একটা সময় হাতাহাতি শুরু হয়, চলে ধস্তাধস্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কাঁকসা থানার পুলিশ, সামাল দেয় পরিস্থিতি, কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সেরে বাইরে বেড়িয়ে আসতেই জেলা আই.এন.টি.টি.ইউ.সি সভাপতি অভিজিৎ ঘটক-কে ঘিরে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। পড়ে ক্ষুব্ধ কর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন অভিজিৎ ঘটক, প্রতিশ্রুতি দেন নতুন কমিটিতে কোনো দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাকে জায়গা দেওয়া হবে না।
জেলা আই. এন.টি.টি.ইউ.সি-র সভাপতি অভিজিৎ ঘটক সাফ জানিয়ে দেন, দুর্নীতির ইস্যুতে কোনো আপোষ করা হবে না। সে যত বড়ই নেতা হোক দোষী প্রমাণিত হলে দল তার ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এবার মুখ খুলেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব, গোটা ঘটনায় এখন ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে পানাগড়ের রেলের স্লিপার তৈরির ঐ কারখানা চত্বরে।
Social