রাতের অন্ধকারে কাঁকসায় চুরি যাচ্ছে মূল্যবান গাছ

Burdwan Today
2 Min Read

  

পাপু লোহার, কাঁকসাঃ রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে পাচার হয়ে যাচ্ছে দামোদর নদীর চকবাজার মানা সংলগ্ন এলাকায়। এমনটাই অভিযোগ করেছেন কাঁকসার মোবারকগঞ্জ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে রাতের অন্ধকারে ও দিনের আলোয় দামোদর নদের চর থেকে চুরি যাচ্ছে বহু মূল্যবান গাছ।

কাঁকসার মোবারক গঞ্জের বাসিন্দা জহর মন্ডল জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর ধরে এলাকায় সবুজায়ন বাঁচাতে একজোট হন কাঁকসার মোবারকগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা। করোনার সময় যখন অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছিলো সেই সময় কিছু অসাধু মানুষ বহু গাছ কেটে পাচার করে দিয়েছে। তাই গাছ পাচার রুখতে গ্রামবাসীদের নিয়ে গঠন করা হয় একটি কমিটি। বন দফতর থেকে শুরু করে সমস্ত প্রশাসনিক দফতরে গাছ কেটে পাচার রুখতে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাছ কেটে পাচার রুখতে কোনো রকম উদ্যোগ দেখায়নি বলে অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দা সুবীর ধাড়া জানিয়েছেন, ৮০র দশকে বাঁকুড়ার বড়জোড়া এলাকায় থার্মাল প্লান্ট শুরু হওয়ার জন্য যে পরিমানে জঙ্গল কাটা হয়েছিলো সেই পরিমান জঙ্গল তৈরি করে দেওয়ার কথা ছিলো।সেই কারণে কাঁকসার মোবারকগঞ্জ সংলগ্ন দামোদর নদের মানা চরে প্রায় ১৭৫ হেক্টর জমির উপর বৃক্ষ রোপন করা হয়েছিল। বাঁকুড়া জেলার বন দফতর থেকে সেখানে ক্যাম্প বসানো হয়েছিলো। কিন্তু, তা সত্ত্বেও সেই সমস্ত গাছ বর্তমানে এলকার বেশ কিছু অসাধু মানুষ রাতের অন্ধকারে কেটে পাচার করে দিচ্ছে। বন দফতরকে বার বার জানিয়েও কোনো সুরাহা না মেলায় বহুবার এলকার মানুষ আন্দোলন করেছিল।

অবশেষে মঙ্গলবার ওই এলাকায় পরিদর্শনে আসেন বন দফরের অধিকারিক (এডিএফও) দুর্গকান্ত ঝাঁ। তিনি জানিয়েছেন তিনি দফতর থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরই প্রায় ৫০ হেক্টর জমির উপরে যে সবুজায়ন রয়েছে তার পরিদর্শন করেছেন। বন দফতরের যে ক্যাম্প গুলি রয়েছে সেগুলিও পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি এলাকার মানুষ আবেদন করেছে যে সমস্ত জঙ্গল এলাকা এখনও বন দফতরের অধীনে নেই। সেই সমস্ত জঙ্গল বন দফতরের অধীনে যাতে আসে সেই বিষয়ে তিনি দফতরকে জানাবেন। এছাড়াও গাছ কেটে পাচারের যে অভিযোগ আছে সেই বিষয়ে যাতে নজরদারি বাড়ানো যায় সেটাও দেখা হবে।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *