আনন্দ হতো। বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়ে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে বাড়ি ফিরতাম। সেটাই ছিল
ছোটবেলার আনন্দ।
মিষ্টি আমি পছন্দ করি। আর যারা মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন তাদেরও পছন্দ করি। বিজয়া
সম্মিলনীর রীতি মিষ্টিমুখ। বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে মিষ্টিমুখের পাশাপাশি যদি
মিষ্টি গলার গান শোনা যায় তাহলে খুশির মাত্রা বেড়ে যাবেই ।
ঠিক সেরকম। শিল্পীর মিষ্টি কন্ঠস্বরে গানে গানে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান
আনন্দমুখর হয়েছে ২৩ অক্টোবর।
বর্ধমান উদয়চাঁদ গ্রন্থাগারে বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট জার্নালিস্টস্ এ্যাসোসিয়েশন
এর উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে গান করেন যারা তাদের মধ্যে ছিলেন প্রবীন
শিল্পী শক্তি বন্দ্যোপাধ্যায়। ওনার গান অনেক দিন পরে সামনে বসে শুনলাম। শক্তিদা
মাঝে মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে গানের অডিও পাঠান। সেই গান শুনতে ভালো লাগে। তাই শক্তিদার
গানের অডিও আমি আবার অন্যদের পাঠিয়ে দিই। গান শুনে সবাইতো ওনার গানের প্রশংসাই
করেন।
এদিন শক্তিদা দুটো গান করেছেন।
মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে
স্মৃতি যেন আমার এ হৃদয়ে বেদনার …এবং
টাপুর টুপুর বৃষ্টি ঝরে কোন
সে আকাশ থেকে
ও আমার কমলিনী শিহরিয়া যায় …
গান করার পরে উনি আমাকে বলেন, আজ আমার গান ভালো হয়নি।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত করেন দেবলীনা ঘোষ।
প্রতিশ্রুতিমান শিল্পী সৌমি মন্ডল শোনালেন দুটো গান…
এসো এসো আমার ঘরে এসো…এবং
চোখের আলোয় দেখেছিলাম
চোখের বাহিরে….
বিজলী দে গাইলেন…
আমার মায়ের পায়ের জবা হয়ে…এবং
জগৎ জুড়ে উদার সুরে
আনন্দগান বাজে,
সে গান কবে গভীর রবে…
সোমা ভট্টাচার্য্য শুনিয়েছেন
যে গান দুটো…
ওগো মনের দুয়ারে দাঁড়িয়ে থেকো না,
ঘরের দুয়ারে এসো…এবং
মায়াবতী মেঘে এলো তন্দ্রা…
পম্পা ঘোষ শুনিয়েছেন গান..
মায়ের পায়ের জবা হয়ে ওঠনা…এবং
ইনি বিনি টাপা টিনি
টানা টুনি টাসা,
সাহেব বাবুর বউ এয়েছে
দেখতে ভারী খাসা…
শুক্লা গাঙ্গুলী গেয়েছেন…
আমার সাধ না মিটিল
আশা না পুরিল…
এবং
আমার মনের কোনের বাইরে…
রুবি আজিম ও নেহা আজিম শুনিয়েছেন শ্যামা সঙ্গীত ও রবীন্দ্র সঙ্গীত।
অন্য শিল্পী যারা গান শুনিয়েছেন তারা হলেন, দিলীপ মুখোপাধ্যায়, রজলক্ষী রায়, লিলি দাস, সৌম্য মন্ডল, অনামিকা কোনার, মৌসুমি চক্রবর্ত্তী।
প্রতিশ্রুতিমান শ্রীজীতা ব্যানার্জির নৃত্য পরিবেশন প্রশংসনীয় হয়েছে।
কবিতা পাঠ করেন তাপসভূষন সেনগুপ্ত, মধূসুদন দত্ত, সুমিত্রা ভট্টাচার্য্য।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক চক্রবর্ত্তী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পঞ্চানন মুখার্জি।
খাসকথা পত্রিকার উৎসব সংখ্যার উদ্বোধন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
প্রবীন কবি কার্ত্তিক গঙ্গোপাধ্যায় ও পত্রিকার সম্পাদক মাধব ঘোষ। প্রবীন কবি
খাসকথা পত্রিকার উৎসব সংখ্যা প্রকাশ করেন।
….