পাপু লোহার, কাঁকসাঃ ফের রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া কাঁকসায়। পানাগড় বাজারের রেলপার ট্যাংকি তলায় বাড়ির ভেতর থেকে এক বৃদ্ধার পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। প্রতিবেশীরা পচা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে কাঁকসা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃত বৃদ্ধার নাম বনশ্রী ব্যানার্জি। ৭৫ বছর বয়সী মৃত বৃদ্ধার এক মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে রয়েছে। গত দু’দিন ধরে বাড়ির বাইরে কাউকে বের হতে দেখা যায়নি বলে দাবি এলাকাবাসীর। এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে পচা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাঁকসা থানার পুলিশ। মৃত বনশ্রী ব্যানার্জীর ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাল কাঁকসা থানার পুলিশ।
যে ঘরের ভেতরে মৃতদেহ পড়েছিল সেই ঘরের খাটে মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধার ছেলে বছর পঞ্চাশের তাপস ব্যানার্জি শুয়ে ছিলেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করার পাশাপাশি মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধার ছেলেকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃদ্ধার স্বামী রেলে চাকরি করতেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। পাশাপাশি তার ছেলে তাপস ব্যানার্জি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। মৃত বৃদ্ধা একাই সব কাজ করতেন। গত দু’দিন ধরে বৃদ্ধা বাড়ির বাইরে বের হননি। এরপরই বৃহস্পতিবার পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মানসিক সমস্যা আছে নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ের। সেই কারণেই মায়ের দেহ আগলে ছিলেন দু’দিন। তবে ঠিক কবে বনশ্রী ব্যানার্জির মৃত্যু হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর। আর জানা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ৷ প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ১০ জুন এই রকম ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল শহর কলকাতা৷ ওই দিন মধ্য কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে পুলিশ কমিশনারের বাসভবনের পাশাপাশি একটি বাড়িতে দিদির কঙ্কাল মাসের পর মাস আঁকড়ে রেখেছিলেন ভাই পার্থ দে৷ যা সারা ফেলেছিল সমগ্র রাজ্যজুড়ে৷
Social