দেবজিৎ দত্ত, বাঁকুড়াঃ নিজের ফার্মাসিস্টের শংসাপত্র জাল করে রাজ্যের চার জেলায় ভিন্ন ভিন্ন ওষুধের দোকানে ভাড়া দিয়ে ব্যবসার ফাঁদ পেতেছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার বাসিন্দা প্রদীপ কুমার দাস। দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম ও পুর্ব বর্ধমান জেলায় সে কাজে সফল হলেও শেষরক্ষা হল না। অবশেষে বাঁকুড়ার ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের হাতে ধরা পড়ল ওই ব্যাক্তি। গতকাল ওই ব্যাক্তিকে আটক করে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিকরা। রাতেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একজন ফার্মাসিস্ট শুধুমাত্র একটি খুচরো ওষুধ দোকানের সঙ্গেই যুক্ত থাকতে পারেন। খুচরো ওষুধ দোকান খুলতে গেলে নির্দিষ্ট আবেদনের পাশাপাশি খুচরো ওষুধ বিক্রেতাকে ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশান সার্টিফিকেটের নকল কপি জমা করতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলার ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরে।
সম্প্রতি বাঁকুড়ার ইন্দাসের এক ব্যক্তি খুচরো ওষুধ দোকান খোলার জন্য বাঁকুড়ার ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরে আবেদন জানান। আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা ছিল প্রদীপ কুমার দাস নামের এক ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশান সার্টিফিকেটের নকল কপি। নিয়ম অনুযায়ী ড্রাগ কন্ট্রোল দফতর ওই ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশান সার্টিফিকেটের নকল কপি পাঠিয়ে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় জানতে চান ওই ফার্মাসিস্ট অন্য কোনো জেলার খুচরো ওষুধের দোকানের সাথে যুক্ত আছেন কিনা। এরপরই দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম ও পুর্ব বর্ধমান জেলার ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ জানায় ওই একই নামের ব্যাক্তি ওই তিন জেলায় ভিন্ন ভিন্ন ওষুধ দোকানের সাথে যুক্ত রয়েছে তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে যে রেজিস্ট্রেশান সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়েছে তার ঠিকানা আলাদা আলাদা। সন্দেহ তীব্র হওয়ায় ইন্দাসের খুচরো ওষুধ দোকান খোলার জন্য আবেদন জানানো ব্যক্তি ও ওই ফার্মাসিস্টকে তলব করে বাঁকুড়া জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল দফতর। বুধবার ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকদের জেরার মুখে ওই ফার্মাসিস্ট ভেঙে পড়ে। সূত্রের খবর ওই ফার্মাসিস্ট অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয়। এরপরই ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা ওই ফার্মাসিস্টকে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্তকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ।