পাপু লোহার, কাঁকসাঃ দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসবকে ঘিরে নানা কর্মসূচী রাজ্য সরকারের। সেইমতো বুধবার কাঁকসার এস.এইচ.জি বিল্ডিংয়ে কাঁকসা ব্লকের সমস্ত দুর্গাপুজো কমিটি গুলিকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন বৈঠকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কাঁকসা থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি সন্দীপ চট্টরাজ, এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল, কাঁকসার বিডিও পর্না দে সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন কাঁকসার ৫০টি পুজো কমিটির হাতে রাজ্য সরকারের আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে এলাকায় যাতে শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে এবং সরকার যে গাইডলাইন জারি করেছে সেই গাইডলাইন মেনে পূজোর আয়োজন করেন পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের নিয়ে সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও করা হয়।
পাশাপাশি এদিন পুজোর কয়েকটা দিন যানজট এড়াতে দর্শনার্থীরা কোন পথ দিয়ে পুজো মণ্ডপে যাবেন সেই বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করার। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে যাতে মোটরসাইকেল আরোহীর মাথায় হেলমেট পরে ও গাড়ি চালকরা সিটবেল্ট ব্যবহার করে সেই বিষয়ে সকলকে আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
এদিন অনুদানের চেক পেয়ে খুশি পুজো কমিটির সদস্যরা। কাঁকসা হাটতলা পুজো কমিটির সদস্য বৈশাখী ব্যানার্জি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চাওয়ার কিছু নেই। পুজোর জন্য তিনি পুজো কমিটি গুলিকে যে অনুদান দিয়েছেন তাতে পুজো কমিটিগুলির অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। একই সাথে দুর্গাপুজো বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে যার কারণে পুজো উদ্যোক্তাদের পুজো করার ক্ষেত্রে আরও মনোবল বেড়েছে। তবে পুজো কমিটিগুলির পাশে প্রশাসন সর্বদা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অন্যদিকে কাঁকসার কংকেশ্বরী দুর্গোৎসব পূজা কমিটির কোষাধ্যক্ষ শান্তনু দাশগুপ্ত জানান, আমাদের মত ছোট ছোট দুর্গাপূজা কমিটি গুলোকে সরকারি অনুদান যথেষ্টই সাহায্য করে। এই অনুদান পেয়ে আমাদের মত পুজো কমিটি গুলো উপকৃত তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে জানাই অশেষ ধন্যবাদ।
মিথ্যুক সংঘ ক্লাবের পক্ষ থেকে ক্লাব সদস্য উত্তম কেশ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে জানাই সাধুবাদ সরকারি অনুদান পেয়ে বহু ক্লাব আজ উপকৃত। তিনি আগামীদিনেও যেন সমস্ত ক্লাবের সাথে থাকেন।