টুডে নিউজ সার্ভিস, কলকাতাঃ ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে নবম- দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের যে ধর্ণা চলছে, আজ তার ১০২ দিন। এটি তাদের তৃতীয় পর্যায়ের ধর্ণা। এর আগে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ ২০১৯ সালে কলকাতার প্রেসক্লাবের সামনে ২৯ দিন ব্যাপী অনশন করেছিলেন। উক্ত অনশন মঞ্চে স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়ে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের সমস্যা সমাধানের জন্য সহানুভূতির সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, মেধাতালিকা ভুক্ত কোনো চাকরি প্রার্থীকে বঞ্চিত করা হবে না। প্রয়োজনে আইনের কিছু পরিবর্তন করেও হলে মেধাতালিকা ভুক্ত সকলকেই নিয়োগের সুব্যবস্থা করা হবে।
বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের সমস্যা সমাধানের জন্যই উক্ত মঞ্চে দাঁড়িয়ে একটি কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। যে কমিটিতে প্রশাসনিক স্তরের পাঁচ জন এবং অনশনরত বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন ছিলেন। কিন্তু, পরবর্তীতে দেখা যায় যে, বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের প্রতিনিধিগণ সহ তাদের ঘনিষ্ঠ কিছু চাকরি প্রার্থীদের র্যাঙ্ক করে অবৈধভাবে চাকরিতে নিয়োগপত্র দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু সার্বিক সমস্যার সমাধান এখনও হয়নি। এর প্রতিবাদে ২০২১ সালে জানুয়ারি থেকে সেন্টাল পার্কের ৫ নম্বর গেটের সামনে ১৮৭ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন করেছিলেন। কিন্তু তার পরও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্ণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের দাবি, মেধাতালিকা ভুক্ত সকলকেই অবিলম্বে চাকরিতে নিয়োগপত্র দিতে হবে। ধর্ণা মঞ্চের স্টেট কো-অর্ডিনেটর সুদীপ মন্ডল জানিয়েছেন যে, মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের সার্বিক সমস্যা সমাধানের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ার হস্তক্ষেপ ভীষণ জরুরি। বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের রাজ্য নেতৃত্ব সুদীপ মন্ডল মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাতর অনুরোধ করেছেন।
Social