মোহাম্মদ ফিরোজ, বীরভূমঃ মরশুমের দিক দিয়ে বর্ষা কিন্তু কাগজে-কলমে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু, বর্ষার যে অঝোর ধারায় বৃষ্টি সেই দৃশ্য দক্ষিণবঙ্গে এখনও দেখা যায়নি। ফলে মাঠ ঘাট নদী নালা রয়েছে শুকিয়ে। কোথাও জলের লেশমাত্র টুকু নেই। যেমন স্বজন বিয়োগের বিরহের ব্যথা মানুষকে কাঁদায় তেমনি যেন জল ছাড়া নদী কাঁদছে। এমনি দৃশ্য দেখা গেল বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকে জয়দেব কেন্দুলি অজয় নদীর ঘাটে।
বাংলা মাসের বৃহস্পতিবার ভাদ্রের প্রথম। এখনও নদী রয়েছে জলশূন্য। এলাকা বহু পুরনো মানুষের অভিজ্ঞতা যে এরকম সময় নদী পুরোপুরি ভরে থাকত এবং চলাচল হত নৌকা। এই ২, ৩টি মাস নৌকা করে যাতায়াত করতো এলাকার সমস্ত অসাধারণ মানুষ। আজও অজয় নদীর ফেরিঘাট চালু রয়েছে। কিন্তু, সেই দৃশ্য অধরা।
আজ সে জলহারা। আজ এই জলশূন্য নদী গর্ভে বসছে সবজির হাট। এইদৃশ্য সাধারণত বর্ষাকালে দেখা যায়নি কখনও। কারণ, বর্ষাকাল নদী জলে ভরে থাকতো। অজয় নদীর ঢুকলে মৎস্যজীবীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কিভাবে চালাবে দৈনন্দিন সংসার। মাছ ধরে যাদের দিনযাপন চলত তারা আজ অসহায়। সময় কিন্তু অতিবাহিত হয়ে চলে যাচ্ছে। দেখা নেই বর্ষার। সুচারুরূপে বর্ষা না হওয়াতে চাষিরা যেমন কষ্ট পাচ্ছে তেমনি কষ্ট পাচ্ছে সর্বশ্রেণীর সাধারণ মানুষ। নদীর এরূপ বীভৎস চেহারা দেখে মনে হচ্ছে যেন স্বজনহারা বিয়োগের বিরহের ব্যাথায় কাঁদছে নদী।
Social