বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ ছেলের শ্বশুর বাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন বাবা। যদিও ওই ব্যক্তির পরিবারের দাবি তার বড় ছেলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে মেরে ফেলে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর নৃসিংহ পুর বীণাপাণির মাঠ সংলগ্ন এলাকায়। জানা যায় মৃত ব্যক্তির নাম অমল সরকার (৫২), পরিবার সূত্রে জানা যায় এদিন ভোররাতে বাড়িতে তাঁত ঘরের ভেতরে ওই ব্যক্তিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে এবং ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। এরপর ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে জানায় ওই ব্যক্তিকে।
পরিবারের অভিযোগ, আগের দিন সকাল থেকেই ওই ব্যক্তির বড় ছেলের শশুর বাড়ির সাথে বিবাদ হয়, এর পরেই বড় ছেলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই ব্যক্তির বাড়িতে এসে চড়াও হয়, এ ছাড়াও বাড়ির একাধিক সদস্যকে মারধর করে। শুধু তাই নয় ওই ব্যক্তিকে ও মারধর করে বড় ছেলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরিবারের কাছ থেকে জানা যায় এই পারিবারিক বিবাদ চলে গতকাল থেকে অধিক রাত্রি পর্যন্ত। ভোররাতে ওই ব্যক্তিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে হতস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা পরিবার। যদিও পরিবারের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি নিজে থেকে আত্মঘাতী হয়নি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনায় ওই ব্যক্তি অমল সরকার এর পরিবার তার বড় ছেলের শ্বশুরবাড়ির পরিবারের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করবে বলে জানান। এই ঘটনায় শান্তিপুর হরিপুর পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল মজুমদার বলেন, সকালে ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে সবটাই জেনেছি, ওই ব্যক্তির বড় ছেলের শ্বশুরবাড়ির সাথে একটি ঝামেলা হয়। তবে কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো আমার সঠিক জানা নেই। বুধবার মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ, এছাড়াও ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ওই ব্যক্তি নিজে থেকেই আত্মঘাতী হলো নাকি মৃত্যুর পেছনে রয়েছে অন্য কোন রহস্য তার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। তবে ওই ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।