টুডে নিউজ সার্ভিসঃ গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। তা নিয়ে তোলপাড় বীরভূম সহ গোটা বাংলা, এরই মাঝে চাকরি ও পড়াশুনো নিয়ে আরও বিপাকে অনুব্রতর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। সে বোলপুরের কালিকাপুরের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা।
অভিযোগ টেট পাশ না করেই চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা মণ্ডল। কিন্তু, একদিনও স্কুলেও যান না। বরং স্কুল তার বাড়িতে চলে আসত। অর্থাৎ, হাজিরা খাতায় নাকি বাড়িতে বসেই সই করে দিতেন সে। হাইকোর্টে এমনি অভিযোগে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা মণ্ডল সহ আরও অনুব্রত মণ্ডলের পাঁচ আত্মীয়। বৃহস্পতিবার টেট সার্টিফিকেট এবং নিয়োগপত্র নিয়ে কলকাতায় হাইকোর্টে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, পরে হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজাম প্যালেস থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতারির পর এই প্রথম সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সাফ জানালেন যে, সুকন্যা মণ্ডলের টেট পাশ করা আছে। সার্টিফিকেটও রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর মেয়ে সুকন্যাকে তলব করেনি, কেবল তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে বলেও দাবি করলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি।
পাশাপাশি অনুব্রত যেমন মেয়ের হয়ে আওয়াজ তুলেছেন, তেমনই কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, সুকন্যা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে খুব জনপ্রিয়। স্কুলে না এলে খাতায় সই করতেন কী করে? স্কুলে আসতেন, ক্লাসও করতেন। শিক্ষার্থীরাও খুব পছন্দ করতেন তাঁকে।
Social