অপূর্ব দাসঃ নতুন হারমোনিয়াম আসবে না কী পুরোন হারমোনিয়ামই থাকবে? এই নিয়ে গায়িকাদের চাপান উতর শুরু হয়েছে……
বকুলবাগান সংগীত সংসদ এর ঘরে গায়ক -গায়িকারা মাসে দুই দিন আসেন। ওই দুই দিন সংগীত সন্ধ্যার আসর হয়। গানের আসরে গায়কদের থেকে গায়িকার সংখ্যা বেশি। ওই আসরে হারমোনিয়ম নিয়ে চাপান উতর শুরু হয়েছে। তনুরিনি বলেছে , “এই হারমোনিয়ম বাজিয়ে ভালো গান করা যায় না। ভালো গানের জন্য চেঞ্জার হারমোনিয়াম চাই”। তনুরিনিকে সমর্থন করেছে দু’এক জন গায়িকা।
“অর্থের অভাব। তাই নতুন হারমোনিয়াম কেনা যাচ্ছে না”। বলেছেন সম্পাদক অজয় রায়। এই কথায় খুশি হয়েছে কাকলি এবং কয়েক জন গায়িকা।
বকুলবাগান সংগীত সংসদ এর কাছেই রাস্তার ধারে ঠেলা ভ্যানে ফুচকার স্টল। রতনের ফুচকার দোকান ভালোই চলে। বিকেল বেলায় রতনের সঙ্গে ওর বউ পারুল খোদ্দের সামলায়। ওদের মেয়ে চারু মাসে দুই দিন সংগীত সংসদের ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে গান শোনে।
সংগীত সন্ধ্যার আসর শেষ হলেই গায়িকারা রতনের ফুচকার স্টলে ভির জমায়। গানের আসর থেকে বেড়িয়ে অধিকাংশ গায়িকা রতনের স্টলে গিয়ে ফুচকা খায়।
ফুচকা খাওয়ার সময় গায়িকাদের মিল দেখা যায়। অথচ কিছুদিন হলো গায়িকাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে টানা পোড়েন চলছে। বিশেষ ভাবে গায়িকা তনুরিনির বিষয়ে কাকলি বিধিয়ে বিধিয়ে কথা শোনায়।
গায়িকাদের মধ্যে এরকম টানা পোড়েন আগে ছিল না। সাংবাদিক মানস সরকার ওই রকম কথা বলার পর থেকে কাকলির রাগ হয়েছে।
সাংবাদিক মানস কী এমন কথা বলেছে? যে কথা শুনে কাকলির রাগ হয়েছে।
মানস বলেছে,” বকুলবাগান সংগীত সংসদ-এর গানের রানী তনুরিনি।
ভালো গান করে যারা তাদের মধ্যে কাকলিও আছে। কাকলির নাম বাদ দিয়ে মানস শুধু তনুরিনিকে সাহিত্য সংসদ-এর গানের রানী বলেছে। মানসের এই রকম প্রশংসা মেনে নিতে রাজি নয় কাকলি। কাকলি যতই বিধিয়ে বিধিয়ে কথা বলুক তাতে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেনি মানস।
মানস বলেছে,”তনুরিনি গানের রানী এবং সংবেদনশীল নারী”। গান ভালো করে সেইজন্য গানের রানী। সেটা না হয় বোঝা গেল। তাহলে, মানস কী জন্য তনুরিনিকে সংবেদনশীল নারী বললো?
মানস জানিয়েছে,” রতন ফুচকা বিক্রি করে। আর ওর মেয়ে চারু মাসে দুই দিন সংগীত সংসদ এর দরজায় দাঁড়িয়ে গান শুনতো। এখন আর চারু গান শুনতে আসে না। কারন চারুকে আসতে বারন করেছে তনুরিনি।এতে সংবেদনশীল নারী বলার মতো কী আছে ?
আছে, আছে। সেই জন্য গল্পের শেষ অংশটা মানসের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক….
চারু গান শুনতে আসতো। ছোট মেয়েটা গান ভালোবাসে। সেটা খেয়াল করেছে তনুরিনি। একদিন রতনের কাছে গিয়ে তনুরিনি বলেছে, ” রতনদা, তোমার মেয়েকে প্রতি রবিবার আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাবে। আমি ওকে গান শেখাবো। তারজন্য আমি তোমার কাছ থেকে কোন টাকা নেব না”।
চারুকে তনুরিনি বলেছে,”একদিন তুই খুব ভালো গান করবি। সেইদিন তুই বকুলবাগান সংগীত সংসদের ঘরে ঢুকবি। সবাইকে গান শোনাবি”।
Social