পাপু লোহার, কাঁকসাঃ পানাগড় বাজার কাওয়ারী মার্কেট এখন মশাদের আঁতুর ঘর। পানাগড় বাজার, রনডিহা মোড় এলাকা মূলত গ্যারেজ ব্যবসার এলাকা। রাস্তার দুপাশে ভাঙা গাড়ির যন্ত্রাংশের পাশাপাশি, যত্রতত্র রয়েছে টায়ার। গত কয়েকদিন ধরে নিম্নচাপে জল জমছে ওইসব টায়ারে। স্বাভাবিক ভাবেই তাতে মশা-মাছির আবাসস্থল তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। এদিন দেখা গেল মার্কেটে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন খোলা মুখ টায়ার আর এই টায়ারের ভিতর মশাদের তৈরি হয়েছে আঁতুড় ঘর ।
স্বাস্থ্য দফতর বার বার জানানো হয়, পুরোনো টায়ারে জমা জল ডেঙ্গি মশার আতুড় ঘর তৈরি হয়। অন্যদিকে পানাগড় বাজার রনডিহা মোড় এলাকায় বছর কুড়ির এক যুবক আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়াও জ্বরে আক্রান্ত বেশ কয়েকজন। আর তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে ডেঙ্গু সচেতনতার পাশাপাশি এলাকায় মশা দমনে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দুষছে এলাকাবাসী।
কাঁকসা পঞ্চায়েত প্রধান শুক্লা সিং বললেন, সর্বোপরি সাধারন মানুষকে সচেতন হতে হবে। অবাধ প্লাস্টিক ব্যাবহারে নিকাশি মজে যাচ্ছে। তাছাড়াও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির আশপাশে পরিস্কার রাখা নিজেদেরকে দায়িত্ব নেওয়া দরকার। তবুও আমরা স্বচ্ছতার দিক দিয়ে যথেষ্ট তৎপর।” নিয়মিত বাজারের নিকাশী ও নোংরা আবর্জনা সাফাই ও স্প্রে করা হয়। গত দুমাস ধরে ১০ জনের এরকম একটি সাফাইকর্মী দল করা হয়েছে। ওই দলটি রুটিন করে সাফাই কাজ করছে।
এদিকে এলাকায় ডেঙ্গি আতঙ্ক ছড়ানোর পর কাঁকসার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তরজা একে অপরের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে পিঠ বাঁচাতে ব্যস্ত। এই আতঙ্কের পর প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষ । শয়ে শয়ে খেটে খাওয়া মানুষ কাওয়ারি মার্কেটে কাজ করে তাদের আগামী দিনে ডেঙ্গুর সম্মুখীন হতে হবে না সে কথা কে বলতে পারে!
আগামী দিনে আদৌ কি পানাগড় কাওয়ারী মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন বা কাঁকসা পঞ্চায়েতর উদ্যোগে ডেঙ্গি দমনের কোনো ব্যবস্থা নেয় কিনা সেই দিকেই তাকিয়ে পানাগড়বাসী ।।