মোহম্মদ ফিরোজ, বীরভূমঃ ইলামবাজারে জঙ্গল থেকে এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করল ইলামবাজার থানা পুলিশ। এই ঘটনায় সেখ সালমান নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ আটক করেছে। ইলামাবাজার থানার জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা সালমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশের ম্যারাথন জেরায় সালমান স্বীকার করে নেন তিনি সেখ সালাউদ্দিনকে খুন করেছেন।
সালাউদ্দিনের পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সৈয়দ সালাউদ্দিন। এরপর রাতের দিকে তাঁর বাবাকে ফোন করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা। অভিযোগ, হুমকিও দেওয়া হয়েছিল মৃতের পরিবারের সদস্যদের। বলা হয়েছিল, ঘটনার কথা পুলিশকে জানানো হলে সৈয়দকে খুন করা হবে। সেই হুমকি ফোনের কয়েক ঘন্টা পরই মল্লারপুর থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিখোঁজ পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি পুলিশ ছাত্রের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা শুরু করে। তদন্ত শুরুর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ইলামবাজার থেকে নিখোঁজ পড়ুয়ার বন্ধু শেখ সালমানকে আটক করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ বীরভূমের ইলামবাজারের চৌপাহারি জঙ্গল থেকে গলার নলিকাটা অবস্থায় ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়। এদিন পুলিশের জেরায় সালমান বলেন ইটভাটা করতে গিয়ে মার্কেটে বেশ কিছু টাকা ঋণ হয়েছে। তাই সেই ঋণ পরিশোধের জন্য এই খুন করেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা।