বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ বছর ১৫ আগে শুরু হয়েছিল প্রতারণা চক্র। যুব উপার্জন সমিতির নাম দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলতো বেশ কয়েকজনের একটি প্রতারণা চক্র। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো অল্প সময়ে জমানো টাকার সুদের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে। সেইমতো রানাঘাট ও ধানতলা অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষরা বিশ্বাস করে টাকা রাখতে শুরু করে যুব উপার্জন সমিতিতে। কিন্তু টাকা ম্যাচিওর হয়ে গেলেও সেই টাকা পাচ্ছিলেন না আমানতকারীরা। এরপর কোভিড পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় যুব উপার্জন সমিতি। বিশ বিশবাঁও জলে পড়ে যায় আমানতকারীরা। এই মতো পরিস্থিতিতে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গে আমানতকারীদের।
টাকা ফেরতের দাবিতে প্রতারণা চক্রের বেশ কয়েকজন পান্ডার বাড়িতে রবিবার রাতে ভাঙচুর চালায় আমানতকারীরা। ভাঙচুর চালানো হয় রানাঘাট থানা কুঠির পাড়ার বাসিন্দা নীল মল্লিকের বাড়ি, বেলে পাড়া জ্যোতি নারায়ন মজুমদারের বাড়ি, ধানতলা থানার শংকরপুরের শান্তিরঞ্জন সরকারের বাড়ি। এবিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ টাকা আদায়ের নামে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে আমানতকারীরা। এমনকি মহিলাদের ওপর অত্যাচারেরও অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালেও যেতে হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
Social