বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ নদীয়াতে আবারও বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায় সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল। বিগত দিনে আমরা দেখেছিলাম নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকায় ভাঙ্গারের কাছে বিক্রি হচ্ছিল ২০০ টাকায় সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল নদীয়ার রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের তারাপুর অঞ্চলে। যদিও ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ তারা স্কুল থেকে সাইকেল নিয়ে এসে মোটা অংকের টাকা খরচ করে সাইকেল সারাই করে নিতে হচ্ছে। সেই সাইকেল নিয়ে স্কুলে যেতে না যেতেই প্রতি এক মাস অন্তর সাইকেল আবার সারাই করতে হচ্ছে। তাহলে প্রশ্ন এখানেই বারংবার সারাই করার জন্যই বা খরচের জন্য কি তারা সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল বিক্রি করছে! এই ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল বিক্রিকে কেন্দ্র করে কিন্তু এক প্রকার চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে।
বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে এইসব প্রকল্পের নাম করে কোটি কোটি টাকা তছরুপ করছেন রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হবার জায়গায় বেশিরভাগ সময়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ, রাজ্য সরকার সবুজ সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে যে সাইকেল দিচ্ছেন সেই সাইকেল ব্যবহার যোগ্য নয়। সেই কারণেই তারা এই সাইকেল ২০০ টাকায় বিক্রি করে দিচ্ছেন।
অন্যদিকে সিপিএমের তরফ থেকেও কিন্তু একইরকম আক্রমণ রাজ্য সরকারকে। সিপিএমের স্থানীয় নেতা হিমাংশু বিশ্বাস জানান, প্রকল্পের নাম করে কোটি কোটি টাকা তছরুপ করছেন। যে সাইকেল ব্যবহার যোগ্য নয় সেই সাইকেল ছাত্রছাত্রীকে দেওয়া উচিত নয় বলেও তিনি কটাক্ষ করলেন। তারাপুর পঞ্চায়েত প্রধান বিপুল মন্ডল জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে আপনাদের মাধ্যমে যেটুকু দেখলাম গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো এবং তিনি আরও জানালেন বিরোধীরা বিরোধীতা করবেন তারা যদি রাজ্য সরকারের সঙ্গে মিলিত ভাবে কাজ করতো তাহলে রাজ্যে আরও উন্নয়ন হত।
এখন দেখার মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প সবুজ সাথী প্রকল্পকে আগামী দিনে কতটা দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা ব্যবহার করতে পারেন এবং এই সবুজ সাথী প্রকল্পকে বাঁচাতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
Social