টুডে নিউজ সার্ভিসঃ আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা। বুধবার নবান্নে বৈঠক শেষে এমনি জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবছর আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলায় ৩০ লক্ষ পুণ্যার্থী আসতে পারেন বলে মনে করছেন তিনি। তাই রেলমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন।
সেইসঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলার ব্যবস্থা নিয়েও বিস্তারিত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যেগুলি হল-
১) মেলার নিরাপত্তা ও নজরদারির জন্য মেগা কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। এছাড়া সাগরে ও নবান্নে থাকবে পৃথক দু’টি কন্ট্রোল রুম।
২) এক টিকিটেই গঙ্গাসাগর যাতায়াত করা যাবে।
৩) ১১৫০টি সিসিটিভি ও ড্রোন ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে।
৪) পুণ্যার্থীদের সহায়তায় থাকবেন কয়েক হাজার ভলান্টিয়ার।
৫) ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ ছাড়াও দেড়শর বেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাদের স্বেচ্ছাসেবকদের নামাবে মেলা উপলক্ষ্যে।
৬) পুণ্যার্থীদের মেলায় পৌঁছতে বিভিন্ন নেভিগেশন এর জন্য আলাদা চ্যানেল করা হয়েছে।
৭) ২১০০ সিভিল ডিফেন্স কর্মী নিয়োগ করা হবে।
৮) মেলায় গিয়ে মৃত্যু হলে থাকবে ৫ লক্ষ টাকার বীমা কভারেজ।
৯) প্লাস্টিকমুক্ত, পরিবেশবান্ধব মেলা করার ক্ষেত্রে জোর রাজ্যের।
১০) এবারেও গঙ্গাসাগর মেলায পুণ্যার্থীদের জন্য নিঃশুল্ক।
১১) ৪টি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স ও ১০০টি অ্যাম্বুল্যান্স।
১২) সাগর মেলার জন্য ২২৫০টি সরকারি বাস ও ৫৫০ টি বেসরকারি বাস চালানো হবে।
১৩) পুলিশের সিনিয়র অফিসারদের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো দেখার জন্য বিশেষ দায়িত্ব প্রাক্তন পুলিশকর্তা রাজীব কুমারকে।
১৪) ৪টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ থাকবে। থাকছে ২১টি জেটি। ভেসেল ও লঞ্চে আলাদা করে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হবে।
১৫) এসএসকেএম, শম্ভুনাথ পণ্ডিত, বাঙ্গুর হাসপাতালে আলাদা করে ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৬) সাগরে ১০ টি দমকল কেন্দ্র ও ২৫ টি দমকলের ইঞ্জিন থাকবে।
১৭)কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাস চলাচলে স্পিড লিমিট বেঁধে দেওয়ার নির্দেশ।
১৮) মেলা প্রাঙ্গনে রান্না করা আটকাতে পুলিশকে আলাদা নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে।
১৯) সব ভাষায় প্রচার করার ব্যবস্থা করতে হবে।