রাসায়নিক সারের কালোবাজারির দাপটে দিশেহারা চাষীরা

Burdwan Today
1 Min Read

 

দেবজিৎ দত্ত, বাঁকুড়াঃ ঊর্ধ্বমুখী আলু বীজের দাম এবং রাসায়নিক সারের কালোবাজারিতে মাথায় হাত আলুচাষীদের। এমনই ছবি দেখা গেল বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর জয়পুর  ইন্দাস সহ বেশ কিছু এলাকায়। ১০:২৬:২৬ ফার্টিলাইজার এর সরকারি দাম ১৪৭০ টাকা সেখানে চাষীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ১৯৫০ টাকা। পটাশ যার সকারী দাম – ১০০ টাকা, ডিএপি  ১২০০ টাকা, ইউরিয়া – ২৬৬ টাকা। ফসপেট – ৪০০টাকা। সেখানে  রাসায়নিক সার ১৯০০-২০০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে চাষীদের।  রাসায়নিক সারের এই কালোবাজারিতে স্থানীয় এগ্রিকালচার অফিসার ও প্রশাসনের উদাসীনতায় অসহায় হয়ে পড়েছেন আলুচাষিরা।

একদিকে আলু বীজের দাম বেড়েই চলেছে নিত্যদিন, আর অন্যদিকে  রাসায়নিক সারের কালোবাজারি, এই দুয়ের চাপে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন চাষীরা।  বারবার নিম্নচাপ‌ও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে আলুচাষিদের কপালে। সব মিলিয়ে অসহায় হয়ে পরেছেন চাষীরা। যেখানে  সরকার রাসায়নিক সারের প্রতি প‍্যাকেটের  ভর্তুকি  দিচ্ছে ফার্টিলাইজার কোম্পানিকে। তারপরও এত দাম বাড়াচ্ছে কেন বাঁকুড়া জেলার ফার্টিলাইজার ব্যাবসায়ীরা, সেটাই বুঝতে পারছেন না ক্ষুদ্র চাষীরা।

রাসায়নিক সার বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দাম, তাও নিরুপায় হয়ে সেই রাসায়নিক রাসায়নিক সার কিনতে হচ্ছে আলুচাষিদের। এই সারের  কালোবাজারি নিয়ে প্রশাসনের উদাসীনতায় দিশেহারা চাষিরা। তাদের দাবি প্রশাসন যেন অবিলম্বে এই কালোবাজারি বন্ধ হোক, তা না হলে আমাদের আলু চাষ বন্ধ করতে হবে। 

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *