মায়ের অভিযোগের জেরে মেয়ের দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠালো পুলিশ

Burdwan Today
2 Min Read

 

সব্যসাচী মণ্ডল, মালদাঃ মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে কবর থেকে তোলা হলো মেয়ের মৃতদেহ । ১০ দিন আগে বাড়িতেই মারা গেছে মেয়ে। তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওর মিলে খুন করেছে তার বড় মেয়েকে। এই ঘটনার ১০ দিন পরে থানায় অভিযোগ জানান মা তাজকেরা খাতুন। ঘটনাটি ঘটে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মিলনগড় কোচপুকুর এলাকায়। মেয়েকে খুন করেছে শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওর। এই এই বিষয়ে মা তাজকেরা শ্বশুর মাহতাব আলি, শাশুড়ি উজলেফা বিবি, দেওর তরিকুল ইসলামের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে এই খুন হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন মৃতের মা।

মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার লোকাল ম্যাজিস্ট্রেট ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসির উপস্থিতিতে সখিনা খাতুনের মেয়ের মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হয় এবং ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মৃতের মায়ের সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ডলি খাতুন। ১০ সেপ্টেম্বর কিশোরীর মা তাজকেরা বিবি ও বাবা সাহাবুদ্দিন শেখ মাঠে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একা ছিল ডলি। ঘন্টাখানেক বাদে তাদের ফোন করে জানানো হয় যে ডলি মারা গিয়েছে। মা তাজকেরার অভিযোগ, মেয়ে পুরোপুরি সুস্থ ছিল। বাড়িতে ফিরে তিনি দেখেন যে মেয়ে খাটে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে জানানো হয়। এরপরেই পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাকে কবরস্থ করেন। কিন্তু মেয়ের মৃত্যু নিয়ে এরপরেই সরব হন তাজকেরা। কিন্তু পরিবারের হুমকিতে মুখ বুজে ছিলেন। তারপর শুক্রবার বড় মেয়ের মতো তাকে ও ছোট মেয়েকে খুন করা হবে বলে দেওর হুমকি দেন বলে অভিযোগ।

তাজকেরা বলেন, ওরা আমাকে ও ছোট মেয়েকেও খুন করার কথা বলে। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় যে ডলিকে ওরাই খুন করেছে। আমি নিজেও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি। কবর থেকে দেহ তুলে ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *