শতভিষা চট্টোপাধ্যায়ঃ মাত্র তিনটে দিনের জন্য মেয়ে আসে বাপের বাড়ি মায়ের কাছে। তিন রাত্রি কাটলেই আবার ফেরার তাড়া। উপায় নেই মায়ের মেয়ে আটকাবার। লোকনিন্দা সামাজিক আচার ভুলে গিরিকন্যা গিরিপুরকে দ্বিতীয় কৈলাস করার কথা কর্তামশাইকে জানিয়েছেন, বিল্বপত্রে ভোলানাথে পূজিচ্ছেন কিন্তু লাভ হয় নি। তাই মাকে মেনে নিতে হয় মেয়ের চলে যাওয়াকে। মেনে নিতে হয় বিচ্ছেদের যন্ত্রণাকে। মিলনের অপেক্ষায় আবার দিনগোনা শুরু হয়।
কৈলাসে ফিরি গিয়ে আত্মভোলা স্বামী না না প্রেমিক নীলকন্ঠ-এর সাথে আজ যে পার্বতীর মিলনের দিন (তিন দিনের বিচ্ছেদ স্বামীকে যতটা কষ্ট দেয় তার থেকে বেশি প্রেমিক পায় বোধ হয়। এই নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্ব বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে দেখবেন আমাকে জড়াবেন না)। এই মিলনে বিচ্ছেদের যন্ত্রণাকে কম করলেও সামনের বছরের আসন্ন বিচ্ছেদের কথাও ভাবায়…..
এই বিচ্ছেদের পর আসা মিলনে মিলিত হয়ে হর গৌরী বুঝিয়ে দেন তারা একে অপরের পরিপূরক।
একজন জগত সংসারের দুঃখ কষ্ট অপরাধ কে গরল রূপে কন্ঠে ধারণ করেছেন আরেকজন দুর্গতিনাশিনী আনন্দদায়িনী অন্নদায়িনী জগন্মাতা রূপে বিশ্বজগৎ পালন করছেন।
পরিপূর্ণতা আসে প্রকৃত অর্থের বোধ হলে,’অর্থ’ পেলে নয়।
আমাদের প্রত্যেকের প্রকৃত অর্থের বোধ জাগ্রত হোক।ব্যস এটুকুই….
ভালো থেকো আমাদের স্বামী সোহাগিনী মা তুমি আপনভোলা ভোলানাথকে নিয়ে।
Social