বর্ধমানে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, এটা পাড়া গত দ্বন্দ্বঃ রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়

Burdwan Today
2 Min Read

  টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ বর্ধমান শহরের খালাসীপাড়া এলাকায় তৃণমূল কর্মী খুন কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, এটা পাড়াগত দ্বন্দ্ব বলে জানালেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান,  অশোক মাঝি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ছিলেন এটা ঠিক। যারা কর্মী অশোককে খুন করেছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। পুলিশ উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করছে, যারা এর সঙ্গে যুক্ত তারা কেউ রেহাই পাবেনা। খুন হওয়া তৃণমূল কর্মী অশোক মাঝির মৃতদেহে শ্রদ্ধা জানাতে বুধবার  বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে যান রবীন্দ্রনাথ বাবু। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের  জেলা নেতৃত্ব। খুন হওয়া তৃণমূল কর্মী অশোক মাঝির মৃতদেহে মালা দিয়ে সন্মান জানান তারা।‌ 

  সোমবার শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত্যু হয়  তৃণমূল কর্মী অশোক মাঝির(৩৮)। মঙ্গলবার দুপুরে অশান্তি বাঁধে বর্ধমানের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খালাসীপাড়ায়। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিমের উপর হামলার অভিযোগ উঠে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। বর্ধমান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ ছিল পৌরসভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে খালাসিপাড়ায় তাকে কয়েকজন বহিরাগতরা রড, লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে। কোনক্রমে তিনি বেঁচে যান। হামলার ঘটনায় প্রাক্তন কাউন্সিলর সৈয়দ  মহম্মদ সেলিম, তৃণমূল কর্মী অশোক মাঝি ও তার স্ত্রী চন্দনা মাঝি জখম হয়। গুরুতর জখম অশোক মাঝিকে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে আহত অশোক মাঝির মৃত্যু হয়। এলাকায় অশোকের মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই ফের ৬ নম্বর ওয়ার্ড উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বর্ধমান কালনা রোডে অবরোধ শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা।

    মৃত অশোক মাঝির মা কল্পনা মাঝি জানান, আমার বৌমা সেলিমের সাথে দল করত। শিবুর লোকজন চাপ দিত তাদের সাথে দল করার। আমার বৌমা রাজি না হওয়াতে আমাদের উপর আক্রোশ ছিল। ওরা আমার বৌমাকে মারধর করছিল, ছেলে প্রতিবাদ জানাতে গেলে ওকেও মারধর করে।

অশোক মাঝির খুনের ঘটনায় বর্ধমান থানার পুলিশ ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে তিনজন মহিলা। ধৃতদের বুধবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *