বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ আবারও আন্দোলনের পথে হাঁটলেন ২০১২ সালের টেট উর্ত্তীন্ন হবু শিক্ষকেরা। সাগর বর্ণপরিচয় অফিসের সামনে দীর্ঘক্ষন ধরে তারা বিক্ষোভ দেখান। তারা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একাধিকবার নিয়োগের জন্য প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন সেই প্রতিশ্রুতি পাওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোনো নিয়োগ হয়নি। তারই প্রতিবাদে এবং নিয়োগের দাবিতে আবারও বিক্ষোভে সামিল হলেন হবু শিক্ষকেরা। ২০১২ সাল থেকে সরকারি দপ্তরের দরজায় দরজায় চাকরির নিয়োগের দাবিপত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন টেট উর্ত্তীন্ন হবু শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিগত দিনে নির্বাচনের আগে শিক্ষক নিয়োগের অনেক প্রতিশ্রুতি মিলেছিল এই হবু শিক্ষকদের। নির্বাচনের সমাপ্তি ঘটলেই সেই সব প্রতিশ্রুতি কোথায় যেন মিলিয়ে যায়। এই থেকে উত্তীর্ণ হবু শিক্ষকদের দিনের-পর-দিন সরকারি দপ্তরে দপ্তরে ঘুরতে হয় চাকরির নিয়োগের জন্য। অনেক হবু শিক্ষক জানাচ্ছেন আগামী দিন তারা আর কোন সরকারি চাকরির জন্য আবেদনপত্র জমা করতে পারবেন না। সরকারি আবেদন পত্রের নিয়ম অনুযায়ী যে বয়সের সীমা দেওয়া থাকে তা তারা অতিক্রম করে ফেলেছেন। তাই তারা জানাচ্ছেন তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন ক্রমশই হচ্ছে। দিন বেকারত্বের জ্বালা মাথায় নিয়েই দিনযাপন করতে হবে। যদি মুখ্যমন্ত্রী তাদের দিকে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন তাহলে হয়তো তারা আগামী দিনগুলো নিশ্চিন্তে কাটাতে পারতেন।
আর কয়েকটা দিন পরেই উপনির্বাচন রয়েছে শান্তিপুরে সেখানে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এসেছিলেন ভোট প্রচারে। সেখানেই অভিযোগ ভোট প্রচার করতে এসে হবু শিক্ষকদের নিয়োগ নিয়ে কোনো রকম কথা বলতে শোনা যায়নি। এই বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্যের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার একপ্রকার কটাক্ষ ও আক্রমণ হারলেন তৃণমূল নেতা তথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। এখন দেখার কবে নিয়োগ হয় এই হবু শিক্ষকরা। দীর্ঘদিন লকডাউন স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যের প্রতিটি স্কুল কলেজে আগের মতোই স্বাভাবিক হতে চলেছে পঠন-পাঠন। এই ক্ষেত্রে প্রয়োজন শিক্ষক নিয়োগ। সেই ক্ষেত্রে কি করেন রাজ্য সরকার সেই দিকে উঁচিয়ে রয়েছেন টেট উর্ত্তীন্ন হবু শিক্ষকেরা।