সুপ্রিয় পরামানিক, দুর্গাপুরঃ “এক সূত্রে বাঁধিয়াছে সহস্রটি মন
এক কার্যে সঁপিয়াছি সহস্র জীবন ”
বিশ্বকবির এ গান চিরন্তন শাশ্বত। এই গানের সুরে সুর মিলিয়ে রাস্তার পথচারী,পথ শিশু, বাস – অটোর চালক ও সাধারণ নাগরিকদের সকলের হাতে পবিত্র রাখি বেঁধে দিলেন দুর্গাপুর এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও আন্তরিক সাহিত্য পত্রিকার কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীরা। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় দুর্গাপুর সিটিসেন্টারে ট্রয়কা পার্কের সংলগ্ন নজরুল মূর্তির পাদদেশ থেকে। ওখানে কবি সাহিত্যিকরা ২০ টি পাতাবাহার গাছ লাগান। বেশ কিছুদিন ধরে দুর্গাপুরের কবি, সাহিত্যিক ও পত্রিকা গোষ্ঠীগুলি দাবী করছেন বিভিন্ন মোড়ে অবস্থিত মনীষীদের মূর্তিগুলোর চারপাশে আবর্জনা, আগাছা দূর করে সেগুলি বাগানের আকারে সাজানো হোক।
এদিন সেই কর্মসূচীর সূচনা করলেন তাঁরা নিজেরাই। প্রদীপ প্রজ্বলন করলেন চিকিৎসক ও সাহিত্যিক শর্মিষ্ঠা দাস, এডুকেশন সোসাইটির সভাপতি বাসুদেব মন্ডল ,আন্তরিক পত্রিকার সম্পাদিকা অন্তরা সিংহরায়, কর্ণফুলির ধারে পত্রিকার সম্পাদিকা কাকলি গুহ রক্ষিত। বিদ্রোহী কবি ও বিশ্বকবির মূর্তিতে মাল্যদান , বৃক্ষরোপণ , ভ্রাম্যমান রাখি বন্ধন ও মিষ্টান্ন প্রদানের সাথে সাথে সংগীত ও কবিতা পাঠ চলতে থাকে । প্রবল বর্ষণেও সংগীত শিল্পী বৈশাখী মুখার্জ্জী, সোমনাথ ব্যানার্জি, কবি সুতপা অধিকারী সেন , সমাজসেবক স্নাতকোত্তর পাল , সীমা সেনগুপ্ত, কবি শরবিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, নৃত্য শিল্পী মৈত্রেয়ী দত্ত, সীমা দেব প্রমুখরা বিশ্বকবির ভাবনা মতো “ বাংলার মাটি বাংলার জল ” সংগীতের সাথে রাখী বেঁধে মৈত্রী ও সম্প্রীতির বার্তা দেন সাধারণের মধ্যে । দুর্গাপুর এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদিকা ভাস্বতী গুপ্ত এই বর্ষণময় দিনে সকলের উপস্থিততে আপ্লুত এবং উপস্থিততে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন । আন্তরিক পত্রিকার সম্পাদিকা অন্তরা সিংহরায় মঞ্চ থেকে বাংলাবাসী সকলকে পবিত্র রাখির শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করেন । বলেন “ আমরা চেষ্টা করছি দুর্গাপুরের রাস্তায় রাস্তায় মহাপুরুষদের মূর্তিগুলি যেখানে আছে সেখানে বাগান তৈরী করে দিতে । আশা করি সকলের প্রচেষ্টায় সফল হবো আমরা একদিন । ”
Social