তারকনাথ সিট, মুর্শিদাবাদঃ দিনটা ছিল ১৯৯৯ সালের ৩১ আগস্ট। কার্গিল যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার বড়ঞা থানার অন্তর্গত আকুম্বা মোড়ের শিমুলিয়া গ্রামের মহঃ সানোয়ার হোসেন। ৪ সেপ্টেম্বর পরিবার জওয়ানের মৃত্যুর খবর জানতে পারে। এরপরেই গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।
তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় ২২ টা বছর। কেমন আছে শহীদের পরিবার? খোঁজ নিল বর্ধমানটুডে-
ভারত সরকারের উদ্যোগে গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শহীদ জওয়ানের স্মৃতি সৌধ। গাছপালায় সাজানো শহীদের বাড়িতে পুরনো স্মৃতি আগলে বসে থাকেন পরিবারের সদস্যরা।
তবে মৃত শহিদের ছেলের দাবি, বছরের অন্য সময় কেউ সেভাবে মনে করে না তাঁর বাবাকে। কেউ সহযোগিতাও করে না। ১৫ আগস্ট এলেই সংবর্ধনা জানানো হয়। পরিবারের উদ্যোগে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করা হয়। কার্গিল যুদ্ধে শহিদ মহঃ সানোয়ার হোসেনের চার ছেলে। বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মেজ ছেলে মহম্মদ সাবেক হোসেন উত্তরাখণ্ডে ইণ্ডিয়ান আর্মিতে কাজ করেন। এক ছেলে কান্দি এসডিও অফিসে কাজ করেন। বাকিরা এখনও চাকরির খোঁজ চালাচ্ছেন।
গ্রামের ছেলে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। সেই আদর্শে এগিয়ে এসেছেন গ্রামের তরুণ প্রজন্ম। অনেকেই দেশের কাজে নিজেকে নিয়োগ করতে ইচ্ছুক।
Social