দেবজিৎ দত্ত, বাঁকুড়াঃ কথা ছিল এবছরের শারদীয়াটা যাক, তোমরা আনন্দেতে কাটাও, পরের বছর ছুটি নিয়ে আসছি একসাথে সবাই মিলে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেড়াবো, পুজোটা আনন্দেই কাটাবো। বউ মেয়েকে কথা দিয়েও কথা রাখা আর হলো না, তার আগেই অচিরে ঝরে পরলো ভারত মায়ের এক বীর সন্তান। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর নিবাসী পরিমল ঘোষ সি আর পি এফ এ আসামের তিনসুখিয়ায় কর্মরত ছিলেন। গত ১৬ অক্টোবর হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।অবশেষে ত্রয়োদশীর সন্ধ্যায় জাতীয় পতাকায় মোড়া তার কফিন বন্দি দেহ এসে উপস্থিত হলো বিষ্ণুপুর শহরে।বাড়িতে স্ত্রী এবং দুই কন্যাকে রেখে চিরতরে বিদায় নিলেন দেশ সেবায় নিয়োজিত আরেক বঙ্গসন্তান। পরিমল বাবুর অকাল প্রয়াণে পুরো বিষ্ণুপুরবাসী শোকস্তব্ধ।
পরিমল বাবুর দেহ বিষ্ণুপুরে আসার পর প্রশাসনিক সমস্ত কর্তারা হাজির হন তার বাড়িতে। এদিন সন্ধ্যায় বাইক রেলি করে তার নিথর দেহ সৎকারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় এবং যথাযথ মর্যাদায় গান স্যালুট দিয়ে পরিমল বাবুর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। বিষ্ণুপুর পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান জানান, “পরিমল অত্যন্ত ভালো ছেলে ছিল, তার এই প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে শোকাহত বিষ্ণুপুর পৌরসভার তরফ থেকে তার মৃতদেহ সৎকারের জন্য যা যা করনীয় আমরা তা করলাম।”
শারদীয়া পরবর্তীতে এরকম শোকবিহল পরিস্থিতিতে সারা মন্দির নগরীতে যেন এক স্তব্ধতা নেমে এসেছে।পরিমল বাবুর পরিবারের সাথে সাথে সাড়া বিষ্ণুপুরবাসীও পরিমল বাবুর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ।