জেলা পরিষদের স্থায়ী কমিটি গঠন নিয়ে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিল তৃণমুলের অন্দরে

Burdwan Today
3 Min Read

রমা চ্যাটার্জি, বালুরঘাটঃ জেলা পরিষদের ৯ টি স্থায়ী কমিটি গঠন নিয়ে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিল দক্ষিন দিনাজপুর জেলা তৃণমুলের অন্দরে। রাজ্য তৃণমুলের নির্দেশে জেলা পরিষদের স্থায়ী কমিটি নিয়ে খোদ জেলা তৃনমুল সভাপতির ডাকা সমন্বয় কমিটির  তিনটি বৈঠকে অনুপস্থিত রইল জেলা পরিষদের অর্ধেকের বেশি সদস্যরা।  অভিযোগ এদের মধ্যে অনেকেই  দলের চেয়ারম্যানের অনুগত। পর পর তার ডাকা তিনটি বৈঠকে জেলা পরিষদের সদস্যরা অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি বাধ্য হয়েই রাজ্য কমিটিকে জানিয়েছে জেলা সভাপতি গৌতম দাস। 

এদিকে এদিন যখন বালুরঘাট শহরের দলের জেলা কার্যালয়ে জেলা সভাপতি এই নিয়ে তার দলের অন্যান্য কয়েকজন কার্যকারিতা ও অল্প সংখ্যক জেলা পরিষদের সদস্যকে নিয়ে বৈঠকের জন্য দফতরে বসে ছিলেন। ঠিক তখন খোদ দলের চেয়ারম্যান তথা রাজ্য সরকারের কৃষি বিপনন দফতরের মন্ত্রী জেলা পরিষদ ভবনের খোদ সভাধিপতির ঘরে সভাধিপতি ও অনান্য জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে  বৈঠকে বসেন।  যদিও বৈঠকের বিষয় কিছু তেমন না থাকলে নব নির্বাচিত  মন্ত্রী হয়ে জেলার থমকে থাকা উন্নয়নের কাজ ও আলাপ পরিচয় পর্ব সারাই নাকি ছিল এই বিষয়।  

যদিও সংবাদ মধ্যম জেলা তৃনমুলের শীর্ষ নেতৃত্বের দু’ধরনের বৈঠকের খবর পেয়ে দু’জায়গায় গিয়ে উপস্থিত হলে দলের চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্র বলেন তিনি জেলা সভাপতির ডাকা এমন কোন বৈঠকের কথা জানা নেই বলে জানান। সাংবাদিকরা যখন তাকে এর মধ্যে দলের গোষ্টী দ্বন্দের ছায়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী তথা দলের চেয়ারম্যান  বিপ্লব মিত্র গোষ্টীদ্বন্দের কথা অস্বিকার করে বলেন তিনি  রাত্রে বাড়ি ফিরেছেন কলকাতা থেকে তাই অন্য কোনো মিটিং আছে তার জানা নেই বা কেউ তাকে জানায়নি। তিনি এখানে সবাইকে নিয়ে চলার কথা বলেন। দলের চেয়ারম্যান যখন একথা বলছেন তার পাশে বসে ছিলেন সভাধিপতি লিপিকা রায়।

অপরদিকে জেলা তৃণমুল কার্যালয়ে ভাংগা বৈঠক সেরে ওঠা জেলা সভাপতি গৌতম দাস এক পাশে জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি ললিতা টিজ্ঞাকে পাশে বসিয়ে দলের চেয়ারম্যানে এদিনের সভার ব্যাপারে না জানার কথাকে খন্ডন করে  সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান তার কাছে চেয়ারম্যানকে ইনর্ফম করার যাবতীয়  রেকর্ড রয়েছে দরকার পড়লে তিনি তা রাজ্য কমিটিরর কাছে জমা দেবেন।  তিনি আরও বলেন তিনি যা করেছেন তা দলের নির্দেশ মেনেই করেছেন তাই পুরো ঘটনাটি তিনি রাজ্য কমিটির নিকট পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাকে যখন সংবাদ মধ্যমের প্রতিনিধিরা জিজ্ঞেস করেন আপনি একদিকে জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ডাকছেন,  পরিষদের সদস্যরা আপনার বৈঠকে না এসে দলের চেয়ারম্যানের ডাকা বৈঠকে হাজির থাকছে।এতে কি দলের মধ্যে গোষ্টীদ্বন্দ মাথা চাড়া দেওয়ার ব্যাপারটি সামনে আসছেনা। তখন জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন তিনি এই নিয়ে কোন মন্তব্য করবেন না। যা বলার রাজ্য কমিটিকে জানিয়েছি। তবে জেলায় সবাই মিলে চলাটাই একান্ত কাম্য। দল আগে সেখানে চেয়ারম্যান বা কে আর সভাপতিই বা কে। আগে দল। তাই সবাই মিলেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষে এগিয়ে যেতে হবে এখানে ব্যাক্তির কোন স্থান নেই।

দলের মধ্যে ফের গোষ্টীদ্বন্দ মাথা চাড়া দেওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে দলের অন্দরে বলে দলের একটি সুত্রে জানা গেছে।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *