Breaking News

চা বিক্রির ফাঁকে গান রাতারাতি ভাইরাল সেই ভিডিও গৃহবধূ বিপাশা দাসের আক্ষেপ রানু মন্ডল যদি সুযোগ পায় তিনি কেন পাবে না


নিখিল কর্মকার, নদীয়াঃ ছোট চায়ের দোকানে চা বিক্রি করে কোনোরকমে সংসার চালানো, তার মধ্যেই গানকে ভালোবেসে রেডিও টিভি দেখে গান শেখা, তাঁর গাওয়া গানের ভিডিও নেটদুনিয়ায় আপলোড হতেই রাতারাতি ভাইরাল সেই ভিডিও। মিউজিক ছাড়া তাঁর সুরের জাদু মন ভরিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে। তিনি নদীয়ার চাকদহের মাঝবয়সী গৃহবধূ বিপাশা দাস। অনেকেই বলছেন, রানু মন্ডল যদি সুযোগ পাই তিনি কেন পাবে না। একটু ঘুরলেই দেখা যাবে বাংলার গ্রামে গঞ্জে বহু মানুষের মধ্যে লুকিয়ে আছে হাজারও প্রতিভা গলায় সুর থাকলেও যোগাযোগের কারণে সাফল্য পাচ্ছে না অনেকেই। তেমনই একটি প্রতিভা লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদছে নদীয়ার চাকদহের গোঁসাই পাড়ার বাসিন্দা বিপাশা দাস। সংসারকে বাঁচাতে চায়ের দোকান চালিয়ে কোনরকম জীবন যাপন করেন, কিন্তু প্রতিভাকে লুকিয়ে রাখতে নারাজ বিপাশা দেবী। খুব ছোট্ট বয়স থেকেই রেডিও এবং টিভি চ্যানেলের মাধ্যম দিয়ে লতা মঙ্গেশকরের গান শুনতেন, এরপর থেকেই লতা মঙ্গেশকরের সুরে গান গাইতে শুরু করলেন বিপাশা দেবী।

 সংসার জীবনে অনেক ঝড় বৃষ্টিকে অতিক্রম করেও নিজের প্রতিভা থেকে একফোঁটাও সারেননি তিনি। বৈবাহিক জীবনে অনেক কষ্ট যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে বিপাশা দেবীকে। নিজের সন্তানদের মানুষ করে তোলার জন্য স্বামীর রোজগার না থাকায় করতে হয়েছে চায়ের দোকান। চায়ের দোকান চালিয়ে নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন অনবরতো। ভাঙ্গা ঘরে টালি চুইয়ে বৃষ্টির জল পড়লেও নিজের ইচ্ছে আকাঙ্ক্ষার কথা বুঝতে দেয়নি কখনো কাউকে। তবুও বাঁচিয়ে রেখেছেন নিজের প্রতিভাকে। লতা মঙ্গেশকরের সংগীতকে স্মরণ রেখে তারি সুরে চায়ের দোকান চালিয়ে গান গেয়ে চলেছেন অবিরাম।

 তিনি চাইছেন সংগীত জগতে কেউ তাকে একটু সুযোগ করে দিন। তাহলে তার যে প্রতিভা সকলের সামনে তুলে ধরতে পারবেন তিনি। উল্লেখ্য এর আগেও নদীয়ার রানাঘাটের রানু মন্ডল রাতারাতি নেটদুনিয়ায় বিখ্যাত হয়ে যায় তার একটি গানের ভিডিও ঘিরে। এরপর তিনি অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন তার প্রতিভা তুলে ধরার।

About Burdwan Today

Check Also

রাজা রামমোহন রায়ের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন

টুডে নিউজ সার্ভিস, কালনাঃ কালনার রামমোহন রায় ছাত্রী নিবাসে মঙ্গলবার উন্মোচন হলো রাজা রামমোহন রায়ের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *