করোনা আবহে বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলল হাজারদুয়ারির দুয়ার

Burdwan Today
2 Min Read

  তারকনাথ সিট, মুর্শিদাবাদঃ করোনা আবহে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল নবাবের কার্যালয় হাজারদুয়ারি সেই হাজারদুয়ারির দুয়ার মঙ্গলবার থেকে ফের খুলল পর্যটকদের জন্য। একাধিক বিধি-নিষেধ নিয়ে হাজারদুয়ারির দুয়ার খুলতেই আনন্দিত পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত গাইড ও ব্যবসায়ীরা থেকে শুরু করে পর্যটকরা।

একদা বাংলা-বিহার-উরিষ্যার রাজধানী মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি দীর্ঘ দিন ধরে করোনা আবহে বন্ধ ছিল,পরে অবশ্য করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে মঙ্গলবার থেকে ফের খুলল সুবেবাংলার রাজধানী হাজারদুয়ারি। নবাব নাজিম হুমায়ুন জাহ ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে ভাগীরথীর তীরে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার রাজধানীর কার্যালয় তৈরি করে হাজারটি দরজা বিশিষ্ট হাজারদুয়ারি। প্রায় ২০০ বছর ধরে এই হাজারদুয়ারি সাক্ষী রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ঘটনার বর্তমানে নবাব নেই,নেই নবাবের সেয় জৌলুস তবে হাজারদুয়ারি রয়েই গেছে,ভারত সরকারের অধীনে হাজারদুয়ারি বর্তমানে সংগ্রহশালা করা হয়েছে আর এই সংগ্রহশালায় নানানা নবাবী আমুলের ঐতিহাসিক নিদর্শন চাক্ষুষ করতে ভারত তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে পর্যটকেরা তবে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর জন্য প্রায় ছয় মাসের বেশি হাজারদুয়ারি বন্ধ ছিল।     

করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে পর্যটকদের জন্য হাজারদুয়ারির দুয়ার খোলা হল একাধিক বিধি-নিষেধ জারি করে। হাজারদুয়ারি বন্ধ থাকায় ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল মুর্শিদাবাদের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত গাইড ও ব্যবসায়ীরা তবে মঙ্গলবার থেকে হাজারদুয়ারি খুলতেই সে সমস্ত পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত গাইড ও ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে তারা নতুন আশার আলো দেখছে তবে ভ্রমণপিপাসু বাঙালি করোনার জন্য যারা এতদিন ঘরে বন্দি ছিল হাজারদুয়ারি খোলাই ফের নবাবের বাড়ি আসতে পারবে বলে আনন্দিত। করোনা আবহে পরপর দুবার হাজারদুয়ারি বন্ধ থাকার পর ফের হাজারদুয়ারি খুললেও প্রথম দিন তেমন পর্যটকের দেখা পাওয়া যায়নি তবে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত গাইড ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন দিন গড়ালে হাজারদুয়ারি তে পর্যটকের দেখা মিলবে। সবমিলিয়ে হাজারদুয়ারি খোলাই পর্যটক থেকে শুরু করে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত গাইড ও ব্যবসায়ীরা উৎসাহী।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *