প্রবীর মণ্ডল, বর্ধমানঃ একদিক যখন করোনা প্রতিরোধে সকরার নানা ধরনের বিধিনিষেধ চালু করেছে। লকডাউন চলছে রাজ্যজুডে়। এমন সময় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রেশন ডিলারদের নতুন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঐ নির্দেশিকায় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় প্রত্যেক ডিলার কে বায়োমেট্রিক মেশিন ব্যবহার করতে হবে । করোনা আবহে এই নির্দেশ পাওয়ার পরই ডিলাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন । কাড়ন ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন রেশন ডিলার ও রেশন ব্যবস্থার সাথে যুক্ত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বিষয়টি নিয়ে তারা আতঙ্কিত। এই বিষয়ে সোমবার বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে গাংপুর গোধূলি অনুষ্ঠান বাড়িতে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল এম.আর ডিলার্স এ্যাসোসিয়েশনের রাজ্যনেতৃত্ব পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির ডাকে এক বর্ধিত সভায় সংগঠনের জেলা এবং রাজ্যনেত্বের ৫০ জন প্রতিনিধি করোনা বিধি মেনে আলোচনায় সামিল হন। বৈঠকের শেষে সংগঠনের রাজ্য নেতা সইফুল আলম ( লাল্টু), বিপ্লব মজুমদার ও জেলা কমিটির নেতা বিকাশ কুমার সরকার জানিয়েছেন, সরকারি সিদ্ধান্ত তাদের মানতে কোন অনুবিধানেই তবে এই ব্যাপারে সরকার কেও তাদের দিকটা দেখতে হবে।
তারা দাবী করেন সঠিক সময় কমিশন পাচ্ছে না, অন্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিম বঙ্গে কমিশনে অনেক ফারাক এমন কি রেশন সামগ্রী বিলি করার সময় যে হ্যান্ডেলিং লস হয় সেটাও তারা পাচ্ছেন না। ঘণ্টাখানেকের বৈঠকে আগামী দিনের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারা জেলা রাজ্য প্রশাসন খাদ্য মন্ত্রীর ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করবেন সমস্যা গুলির দ্রুত সমাধানের জন্য। তাদের কথা মানবিক মুখ্যমন্ত্রী তাদের আবেদনটি মানবিক দিক থেকেই বিচার করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে করোনা আবহে বায়োমেট্রিক মেশিন ব্যবহারের যে নির্দেশ খাদ্য দপ্তর দিয়েছে তা স্থগিত রাখার আবদেন করেছেন।
এদিনের বৈঠকে অন্যন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মালদা থেকে অজিত মন্ডল, মুর্শিদাবাদ থেকে নীলরতন দাস, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে সেখ সইফুল আলম ( লাল্টু), দক্ষিন ২৪ পরগনা থেকে বাপ্পা হালদার, বাঁকুড়া জেলা থেকে গুরুপদ ধক, বাদল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান থেকে অমল ভট্টাচার্য, বিকাশ সরকার, কবিরুল ইসলাম, পশ্চিম বর্ধমান থেকে আশিস দত্ত , মনোজ অধিকারী, হুগলী জেলা থেকে শক্তি ঘোষ এছাড়াও অন্যান্য জেলা থেকে গৌতম দে, জয়ন্ত রায়, দেবাশিষ ভাণ্ডারী, মৃণাল ঘোষ, আদিত্য সামন্ত সহ ৫০ জন।
Social