বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ আবারও এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের চৌগাছা। ১০ বছরের এক চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত ইংরেজি ২৫ তারিখ তার বাড়ির পাশের খেলা করছিল। সেই সময় প্রতিবেশী যুবক সিবা সরকার জোর করে ওই নাবালিকার সঙ্গে অসভ্য ব্যবহার এবং শ্লীলতাহানি করে। পরে ওই নাবালিকাকে ঝোপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এরপর নাবালিকার চিৎকার-চেঁচামেচিতে কোনরকম পালিয়ে সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়িতে এসেই বিস্তারিত ঘটনা তার বাবা মাকে জানাই। ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি কিশোরগঞ্জ থানায় গিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। সেই ঘটনার পর পাঁচদিন কেটে গেলও প্রশাসনের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা গেল না। নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে বারংবার কৃষ্ণগঞ্জ থানাতে গিয়ে অভিযুক্ত গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর মেলেনা। এখানে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি অভিযুক্ত শিবা সরকার বাংলাদেশ থেকে ভারতবর্ষে অনুপ্রবেশকারী। শিবা সরকার বাংলাদেশের থাকতেন। কাঁটাতার পেরিয়ে এ দেশে অনুপ্রবেশ করে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এর আগেও রানাঘাট চার্চ সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ মামলায় নাম জড়িয়েছিল বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের। তারপরেই কৃষ্ণগঞ্জের চৌগাছার নাবালিকা ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় আবারও নাম জোরালো অনুপ্রবেশকারী যুবকের। বারবার যখন নির্যাতিতার পরিবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও ফিরে আসতে হচ্ছে এখনও অধরা রয়েছে অভিযুক্ত। প্রশাসনের এই ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
গত বুধবার নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন চাইল্ড হেল্পলাইনের সদস্যরা। অবশেষে কৃষ্ণগঞ্জ প্রশাসনের উপর ভরসা না করে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ আধিকারিক দপ্তরে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। নির্যাতিতা নাবালিকার বাবার দাবি এই জঘন্য অপরাধের অপরাধীর শাস্তি চাই।