বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ তেহট্ট থানার নফরচন্দ্র পুর এলাকায় এক মহিলার গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে ওই গ্রামের এক গৃহবধূর মাঠে এক গাছে গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সকালের দিকে গ্রামের এক চাষি জমিতে কাজে যাওয়ার সময় দেখতে পায় ওই ঝুলন্ত দেহ। তাকে চিনতে পেরে গ্রামের লোকেদের খবর দেয়। এরপর গ্রামের বাসিন্দারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
জানা গেছে ওই আদিবাসী মহিলার স্বামী দুবাইয়ে কাজের সূত্রে থাকে। গ্রামে তার দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ কাল সন্ধ্যের দিকে সে গ্রামের একজনের বাড়িতে গিয়ে বসে ছিল, সেই সময় কেউ একজন ফোন করে মাঠের দিকে ডাকে। যাওয়ার সময় তিন চারজন তাকে জোর জবরদস্তি ধরে নিয়ে যায়। এদিন সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় ও পরিবারের অভিযোগ তাকে ধর্ষন করে খুন করা হয়েছে।
মৃতার ছেলে মহিন্দ্র সর্দার বলেন, ” আমার মা পাশের বাড়ি বসে গল্প করছিল। সেই সময় তাকে ফোন করে ডাকে। গ্রামের একজন দেখেছে তাকে তিন চার জন ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পরে আমি জানতে পেরে গ্রামের লোকজনদের নিয়ে খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পেয়ে গ্রামের একজন আমাদের খবর দেয়। গ্রামের একজন সৌমজিৎ নামে একজনের উপর সন্দেহ আছে। ও এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব, যাতে পুলিশ দোষীদের খুঁজে শাস্তি দেয়।
মৃতার বোন কমলা সর্দার বলেন, ” আমি পাশের গ্রামে থাকি। বোনের স্বামী দুবাইয়ে কাজ করে। বোন তার দুই ছেলেকে নিয়ে থাকে। সকালে জানতে পারি ওর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। যেভাবে কাপড় খোলা অবস্থায় ওকে পাওয়া গেছে, তাতে আমাদের সন্দেহ ওর সঙ্গে খারাপ কাজ করে খুন করা হয়েছে। ওর আত্মহত্যা করার কোনো কারণ নেই। দোষীদের শাস্তি চাই। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
Social