দেবজিৎ দত্ত, বাঁকুড়াঃ শীতের মরসুমে ভীড় জমতে শুরু করেছে শুশুনিয়া পাহাড়ে। বাঁকুড়া জেলার পর্যটন মানচিত্রে শুশুনিয়া পাহাড় একটি অতি পরিচিত নাম। পাশাপাশি মুকুটমণিপুর, বিহারীনাথ বেশ জনপ্রিয়। বাঁকুড়া শহরের পশ্চিমে ২২ কিলোমিটার গেলেই শুশুনিয়া পাহাড়। সবুজ বনানীতে ঘেরা পাহাড়ের এক অপরুপ দৃষ্টিনন্দন যার জেরে সারা জেলাবাসী থেকে শুরু সারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসেন। গত ২ বছর করোনার কারনে প্রকৃতির নির্মল কোল শুশুনিয়া পাহাড়ের চিত্রটা সম্পুর্ণ অন্যরকম হলেও নিয়ম মাফিক বহু পর্যটকের আগমন ঘটছে এখানে।
প্রকৃতির এই নির্মল কোল শুশুনিয়া পাহাড়ে শীতকালীন এই সনময়ে পর্যটকদের আনাগোনা যখন প্রচুর পরিমাণে হয় তখন নিয়মবিরুদ্ধ অনেক ক্রিয়া-কলাপ কোভিড পূর্ববর্তী বছরগুলোতে সংঘটিত হয়েছে যেমন অত্যধিক শব্দ যুক্ত সাউন্ড সিস্টেম, বর্জ্য পদার্থ যথা থার্মোকলের খাবার খাওয়ার থালা জাতীয় সরঞ্জাম সঠিক নিক্ষেপ না করা, পাহাড়ের এক কোনায় তিন পাত্তি নামক এক জুয়ার খেলা। এই মরশুমে পর্যটক ঘেরা শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে যাতে কোনরকম পূর্ববর্তী ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য কোমর বেঁধে মাঠে নামলো সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং পুলিশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। প্রশাসনের কর্তারা এদিন পুরো শুশুনিয়া পাহাড়ের কোল চত্বর ঘুরে দেখেন এবং কোনোরূপ কোনো অসাধু কর্ম আর যাতে না হয় তার নির্দেশ প্রদান করে যান নিচু স্থানীয় কর্মী থেকে শুরু করে ওখানকার স্থানীয় সংস্থাকে।
জেলা প্রশাসনের এই ধরণের কর্মকান্ডকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন শুশুনিয়ার সাধারণ জনগণ। তারা পুলিশের এই ধরনের উদ্যোগে খুবই আনন্দিত।
Social