দেবনাথ মোদক, বাঁকুড়াঃ ৩ দিন বাদেই বিয়ে। শুক্রবারই বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ থানার বড় আড়াল গ্রামে ফেরার কথা ছিল পুলিশ কর্মী হিমাংশু মাজির। কিন্তু তার আগে ছেলের খবরটা বাড়িতে পৌঁছাতেই শোকের ছায়া গোটা পরিবারে। জানা যায়, এদিন সকালে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের পুলিশ লক আপে নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে হিমাংশু। এমন ঘটনার খবর জানার পরই পরিবারের লোকজন রওনা দেন চুঁচুড়ার উদ্যেশ্যে। বৃহস্পতিবার লকআপে নাইট ডিউটি ছিল তার। তারমধ্যে ভোরে ঘটে যায় এ ঘটনা। কিন্তু, কেন তিনি এমনটা করেছেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না সহকর্মীরা ও গ্রামের বাসিন্দারা।
আরও জানা যায়, আগামী ৩ মার্চ বিয়ে। বিয়ের আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছিল গ্রামের বাড়িতে। প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। আসতে শুরু করেছিলেন আত্মীয় স্বজনেরা। শুক্রবার বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ থানার বড় আড়াল গ্রামে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের র্যাফে কর্মরত হিমাংশু মাজির। এমনিতে শান্ত স্বভাবের ছোট থেকেই মেধাবী হিসাবে এলাকায় পরিচিতি ছিল হিমাংশুর। অত্যন্ত মিশুকে হিমাংশুর বন্ধু বান্ধবও কম নয়। কিন্তু সেই হিমাংশুই নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারে তা ভাবতে পারছেন না গ্রামের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হিমাংশুকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ ভোরে ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছাতেই হিমংশুর বাবা ও মা গাড়ি নিয়ে চুঁচুড়ার উদ্যেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। বাড়িতে বয়স্ক দাদু ও ঠাকুমা আছেন। স্থানীয়দের দাবি এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে আসল ঘটনা সামনে আনা হোক।