টুডে নিউজ সার্ভিসঃ এবার থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার জন্য শুধুমাত্র এলপিজি গ্যাস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বালুরঘাট রুরাল এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার সময় ঘটে যায় এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ১৮ বছর ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মরত এক ৫৫ বছর বয়সী কর্মী কাঠের উনুনে রান্না করার সময় আচমকা তাঁর কাপড়ে আগুন লেগে যায়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, এবং তিনি অগ্নিদগ্ধ হন। সেই সময় মাঠে কাজ করা এক কৃষক ঘটনাটি দেখতে পান এবং তৎক্ষণাৎ তাঁকে উদ্ধার করতে ছুটে আসেন। তবে শেষ রক্ষা হয় না। ওই কর্মীর মুখ বাদে শরীরের অন্যান্য অংশ আগুনে গুরুতরভাবে ঝলসে যায়। দ্রুত তাঁকে খাসপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ওই কর্মীর মৃত্যু হয়।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এর আগে কখনও এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেনি। এই দুঃখজনক ঘটনার পর জেলা প্রশাসন শোক প্রকাশ করেছে এবং মৃত কর্মীর পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিধানসভায় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান রাজ্যে এই মুহূর্তে ৮১ হাজার ৩২১ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে যেখানে এলপিজি কানেকশন দিয়ে শুরু করতে গেলে মোট খরচ হবে ৩৭ কোটি ৮১ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৫০ টাকা। বর্তমানে রাজ্যের অধিকাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এই এলপিজি কানেকশন করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রথমে সেই সব জায়গায় কাজ শুরু হয়েছে যেখানে নিজস্ব গৃহে রান্না করা হয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য, নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান আসন্ন আর্থিক বছরেই গোটা রাজ্যে সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এই এলপিজি কানেকশনের কাজ শেষ করা হবে।