টুডে নিউজ সার্ভিস, দুর্গাপুরঃ আর সপ্তম শ্রেণীতে ওঠা হলো না! ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পা পড়েছিল জ্বালানি গুলে। সেটাই হলো অপরাধ। বাড়িতে গিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়াকে চরম অপমান প্রতিবেশী মহিলার। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়িতে গলায় গামছা দিয়ে আত্মঘাতী পড়ুয়া। মৃতদেহ নিয়ে অভিযুক্ত মহিলার বাড়ি ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ। ভাঙচুর করা হলো দোকানও। ব্যাপক উত্তেজনা দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার উড ইন্ডাস্ট্রি এলাকায়। ঘটনাস্থলে কোকওভেন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃত পড়ুয়ার নাম সুরোজ ঠাকুর (১৩), নেপালি পাড়া হিন্দি হাই স্কুলের পড়ুয়া।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সুরজ পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। তখনই তুলসী রুইদাসের দেওয়া জ্বালানি গুলে পা পড়ে যায়। তারপরেই বাড়িতে গিয়ে সুরোজকে চরম অপমান করে তুলসী রুইদাস। মা বাড়িতে না থাকায়, কেন গুলের উপর পা দেওয়া হয়েছে সে নিয়েও সুরোজকে চরম গালাগালি করতে থাকে সে। তারপরেই সুরোজ বাড়ির ভেতরে দরজা লাগিয়ে ঢুকে যায়। সন্ধ্যায় মা বাড়িতে ফিরে এসে সুরোজকে অনেক ডাকাডাকির পরেও দরজা খোলেনি। দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকতেই দেখেন গলায় গামছা দিয়ে ঝুলছে সুরোজ। মায়ের চরম আত্মনাদে ছুটে আসে এলাকাবাসীরা। সুরোজকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। তারপর থেকে অভিযুক্ত তুলসী রুইদাস পলাতক বলে অভিযোগ। তুলসী রুইদাস এবং তার স্বামী জগু রুইদাস কে গ্রেপ্তারের দাবিতে শুক্রবার দুপুরে তাদের বাড়ির সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসীরা। মৃত পড়ুয়ার মা পিঙ্কি দেবী অভিযোগ করেন, “গুলে পা দিয়েছিল বলে আমার ছোট্ট ছেলেটাকে চরম অপমান করেছিল তুলসী। গুল না দিলে মারধরের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। অপমান সহ্য করতে না পারাই আমার ছোট্ট ছেলেটাকে চলে যেতে হল। চরম শাস্তি চাইছি তুলসী রুইদাস আর তুলসী রুইদাসের স্বামী জগু রুইদাস।” পুলিশের আসতেই নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন দ্রুত অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়া না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবো।
Social