Breaking News

কংসাবতী জলাধারের বনপুখুরিয়া দ্বীপে করা হলো বৃক্ষরোপণ

দেবনাথ মোদক, খাতড়াঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বাংলার প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে সৌন্দর্যায়নের জন্য চলছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। এই ভরা বর্ষায় পরিযায়ী পাখিদের একেবারেই আনাগোনা কমেছে মুকুটমণিপুর জলাধারে। বন দফতরের সমীক্ষাতেই এই তথ্য সামনে এসেছে। তাই পরিযায়ী পাখিদের কথা মাথায় রেখে শুক্রবার বাঁকুড়া দক্ষিণ বনবিভাগের উদ্যোগে ও খাতড়া রেঞ্জের তরফে বৃক্ষরোপণ করা হল কংসাবতী জলাধারের বনপুখুরিয়া দ্বীপে। এদিন এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য বনপাল এস কুলান ডাইভল, বাঁকুড়া দক্ষিণের ডিএফও প্রদীপ বাউরি, দেবাশীষ মহিমা প্রসাদ প্রধান,রাজু সরকার,খাতড়া মহকুমা শাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়, খাতড়ার এসডিপিও অভিষেক যাদব, খাতড়ার রেঞ্জার সীতারাম দাস সহ বনকর্মীরা।

মুখ্য বনপাল এস. কুনাল ডাইভল জানান, বাঁকুড়ার নামে পর্যটন কেন্দ্র মুকুটমণিপুরের সৌন্দর্যের টানে বর্ষার মরশুমে সমাগত পর্যটকদের নজর করার ভিড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়, জেলা বন দপ্তরের উদ্যোগে। এই বর্ষায় ফি বছর বন দফতরে বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষরোপণ করায় প্রচুর জঙ্গল বেড়েছে। সে কারণে জঙ্গলে পরিযায়ী পশুপাখির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বার মুকুটমণিপুর কংসাবতী জলাধারের মধ্যে থাকা দ্বীপেও বৃক্ষরোপণ করার কথা ভাবা হয়। শীতকালে এখানে পরিযায়ী পাখিরা আসে। এদিন তাদের পছন্দের গাছের চারা বসানো হল। এতে শীতে পরিযায়ীদের আনাগোনা আরও বাড়বে। বন দফতর সূত্রে খবর, একদিন পরিযায়ী প্রার্থীদের কথা মাথায় রেখে এখানে তেঁতুল,বট,জাম, বাবলা মহুল, বহড়া, সহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বড় বড় বৃক্ষ যেখানে পাখিরা বাসা বাঁধতে পারে, এমন গাছের চারা লাগানো হয়েছে।

তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শীতকালে মুকুটমণিপুর জলাধারে ইঞ্জিন চালিত নৌকাবিহার ও পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় পরিযায়ী পাখিদের আসা যাওয়া কমেছে। পর্যটন শিল্পকে বাঁচিয়ে ও পরিযায়ী পাখিদের ধরে রাখতে কী করা যায়, তা প্রশাসনকে দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন।

About Prabir Mondal

Check Also

বাঘ গুনতে সুন্দরবনে বসছে ১৪৪৪টি ক্যামেরা

টুডে নিউজ সার্ভিসঃ বাঘের সংখ্যা জানার জন্য আবার সুন্দরবনের জঙ্গলে বসতে চলেছে ক্যামেরা। প্রতিবছর শীতের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *