টুডে নিউজ সার্ভিসঃ লোকসভা ভোটের আগে আবার বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-র জেলায়। রাজ্য সরকারের প্রকল্পের টাকা নাকি আত্মসাৎ করছে বিজেপি! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কারসাজি করছে বিজেপির লোকজন, এমনি অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় ধৃত বিজেপি নেতা সহ আরও ২ জন।
বেশ কিছুদিন থেকে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে এক ভয়ানক অভিযোগ। রাজ্য সরকারের দেওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নাকি পাইয়ে দিতেন তারা! এমনকি আগাম বলে রাখলে তবেই নাকি পাওয়া যেত টাকা। বিজেপি নেতার ছেলে বেসরকারি অফিসের অধীনে বিভিন্ন সরকারি অফিসে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতেন, তার বিরুদ্ধেই মূল অভিযোগ। হুগলির খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে কারচুপি করে বিজেপির বুথ সভাপতি-সহ তার ছেলে ও কয়েকজন পেয়েছিল লক্ষীর ভান্ডারের টাকা। আর এনিয়ে খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের বিডিও মধুমিতা ঘোষ খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার পুলিসের সহযোগিতায় ময়না-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ হরকুলি গ্রামের শ্রীকান্ত দাসের বাড়িতে যায় পুলিস। শ্রীকান্ত দাস বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ডেটা এন্ট্রির কাজ করতেন। শ্রীকান্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার হরকুলি গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক দাসের ছেলে। খানাকুল বিডিও অফিসে কাজ করতেন শ্রীকান্ত। তিনি নজের নামে ও বাবার নামে টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ তিনি কখনও পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান , হুগলিতে কাজ করতেন। ২০২২ সালের হুগলি জেলার খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের কাজ করতেন, সে সময়েই দুয়ারে সরকারের কাজ করার সুবাদে বিডিওর কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড হ্যাক করে এবং কারচুপি করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা সে সময়ে তিনি তার বাবা বিজেপি নেতা সহ আরও ১৫ থেকে ১৮ জন লোককে টাকা পাইয়ে দেন।
এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে তড়িঘড়ি তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন খোদ বিডিও। শ্রীকান্ত বাড়ি না থাকায় তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ, কিন্তু তার বাবা অশোক দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিওবা বিজেপির বুথ সভাপতি জানিয়েছেন টাকা একাউন্টে ঢুকলেও পরে নাকি বন্ধ হয়ে যায়।
Social