টুডে নিউজ সার্ভিস, বীরভূমঃ শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে এবার সরস্বতী পুজোয় শেষ করে দেওয়া হল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্ট শান্তিনিকেতন সম্পূর্ণ ব্রাহ্ম এলাকা। এখানে কখনও কোনোদিন মূর্তি পুজো হয় না। এটা সম্পূর্ণ নিরাকার ব্রহ্ম। সৃষ্টির দিন থেকে এখনও পর্যন্ত যা কোনোদিন হয়নি সেটাই এবার সরস্বতী পুজোয় হল শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতী তথা শান্তিনিকেতনর রীতি ও প্রথা ভেঙে এবার শান্তিশ্রী বয়েজ হোস্টেলে হল সরস্বতী পুজো। রীতিমতো সরস্বতী পুজোর মন্ত্র উচ্চারণ করে, শাঁখ, ঘন্টা কাঁসর বাজিয়ে, অঞ্জলি দিয়ে করা হল সরস্বতী পুজো। এতদিন পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে সরস্বতী পুজোর দিনটিকে পালন করা হয় অন্যরূপে অন্যনামে, যা সৃষ্টি করে গিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই। ‘বসন্ত পঞ্চমী’ হিসেবেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন রকম ভাবে পালন করা হয় শান্তিনিকেতনে এই দিনটিকে।
বসন্তকে স্বাগত জানাতেই গুরুদেব সৃষ্টি করেছিলেন এই বসন্ত পঞ্চমী। যেহেতু এটা সম্পূর্ণ একটি নিরাকার একটি ব্রাহ্ম এলাকা তাই এখানে কোনো দেবদেবীর মূর্তি কখনও কোনোদিন পুজো হয় না। কিন্তু সেই চিরাচরিত প্রথাকে এবার ভেঙে দিল শান্তিশ্রী বয়েজ হোস্টেলের ছেলেরা। কিভাবে সম্ভব হল ? এত বড় সাহস কোথা থেকে পেল তাঁরা ? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে এবং হোস্টেলে ওয়ার্ডেনের নজর এড়িয়ে কিভাবে তাঁরা সরস্বতী পুজো করতে সক্ষম হল এই প্রশ্ন তুলেই রীতিমতো সরব হয়েছে এখন শান্তিনিকেতনবাসী। লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাওয়ার জোগাড় এখন সকলের। আদপে কি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার জন্য কোনো কড়া পদক্ষেপ করবে সেটাই এখন দেখার। যদিও কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না, তাই যথাযত পদক্ষেপ করা হবে এই ঘটনার জন্য।
