টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে বুধবার দুই গোষ্ঠীর কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে রীতিমতো বিবাদ থেকে রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। অভীক দে-লবির বেশ কয়েকজন পড়ুয়া এখনও কলেজ ক্যাম্পাসে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়াদের একাংশ। পাল্টা সাসপেন্ডেড ছাত্রছাত্রীদের ফেরানোর দাবিতে সরব হয় অপরপক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে কলেজে পৌঁছায় বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বৃহস্পতিবার গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটির ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসে।
এক পক্ষ যখন চাইছেন, থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাক কলেজের দরজা। ঠিক অপরদিকে একদল পড়ুয়া চাইছেন, সাসপেন্ড হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে হবে কলেজে। যে কারণে বুধবার কলেজ কাউন্সিলের মিটিং শুরু হতেই বাদানুবাদ থেকে রণক্ষেত্রের রূপ নেওয়া কলেজ চতরে অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিন কলেজ চত্বরে এলেন গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটির ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটির সদস্য ডাঃ সৌরভ দত্তের নেতৃত্বে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধি দল ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এবং তিনি জানান, আগামী ২৪ তারিখ ডাক্তারদের সংগঠনের নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটি বৈঠক করবেন এবং ডাক্তারদের বিভিন্ন অভাব অভিযোগ শুনবেন।
তিনি আরও জানান, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আজকের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে, এবং আজকের পর থেকে কলেজে আর থ্রেট কালচার থাকবে না।
তবে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি এখনও পর্যন্ত অভিক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসদের কোনোরকম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়নি স্বাস্থ্য দপ্তর। অতএব তাদের শাস্তি না হলে কলেজে যে থ্রেট কালচার বন্ধ হবে না সে কোথাও জানালেন তারা।
এছাড়াও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরে বিভিন্ন সময় যে সমস্ত অভিযোগ জমা পড়েছে সেই সমস্ত অভিযোগ নিয়েও আজকের এই বৈঠকে আলোচনা হয় এবং গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটির সদস্যরা আশ্বাস দেন সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
