পঞ্চায়েতের সমস্ত পরিষেবা দিতে মঙ্গলবার থেকে চালু হচ্ছে ‘স্মার্ট পঞ্চায়েত’

Prabir Mondal
2 Min Read


টুডে নিউজ সার্ভিসঃ এবার লক্ষ্য ‘স্মার্ট পঞ্চায়েত।’ গ্রাম পঞ্চায়েতের যাবতীয় পরিষেবা এবার হবে অনলাইনে। ১ এপ্রিল থেকে এই অনলাইন পরিষেবা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত ব্লকে সেই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর। পঞ্চায়েত থেকে পরিষেবা দিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশিকা আগেই জারি হয়েছিল। কিন্তু সেই ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা পুরোপুরিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল না বলে বিতর্কও হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে তা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর।

রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, “স্মার্ট পঞ্চায়েত তৈরি করার লক্ষ্য নাগরিকদের তাৎক্ষণিক এবং ঝামেলাহীন অনলাইন পরিষেবা প্রদান করা। এই ব্যবস্থায় কাজের গতি এবং স্বচ্ছতা দুই বজায় থাকবে একই সঙ্গে প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তাতে কোথাও ফাঁক থাকলে তা খুঁজে বের করে সংশোধন করার কাজটাও সহজ হবে।”
রাজ্যের ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত তথা গ্রাম উন্নয়নের যাবতীয় প্রকল্প পরিকল্পনা এবং দৈনন্দিন কাজের হিসাব নাগরিকদের কাছে পৌঁছতে গোটা ব্যবস্থাকেই ডিজিটাল প্লাটফর্মের আওতায় আনতে হবে। এই নির্দেশিকা যথাযথভাবে পালন করা না হলে শাস্তির সংস্থানও থাকবে বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে জানা গেছে, যাবতীয় হিসাব-নিকাশের স্বচ্ছতা রক্ষায় একটি বিশেষ সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। মূলত জেলায় জেলায় জন্ম-মৃত্যু জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার পরিষেবা, আবার বা আবাসিক সংক্রান্ত পরিষেবা, ট্রেড লাইসেন্স, বাড়ি তৈরীর পরিকল্পনার অনুমোদন, আয় ব্যয় সংক্রান্ত পরিষেবার কাজ একাধিক বিষয় এই ডিজিটাল প্লাটফর্মের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় যাবতীয় ক্ষেত্রে ‘ডেটা বেস’ তৈরি করা হয়েছে। একটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোথায় কতগুলি পুকুর, সভাস্থল, অতিথিশালা, খেলার মাঠ, পর্যটনস্থল, হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, চিকিৎসক রয়েছেন তা যেমন এই ডেটাবেসে উল্লেখ থাকবে কত মহিলা, পুরুষ, শিশু বা বয়স্ক ব্যাক্তিরা রয়েছেন এমনকি প্রতিবন্ধী বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজনের তথ্য সেখানে উল্লেখ করা থাকবে। প্রযুক্তি নির্ভর এই ‘স্মার্ট পঞ্চায়েত’ রাজ্যে তৃণমূল স্তর থেকে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও সরকারি কাজে গতি যেমন বাড়াবে তেমনি উন্নত গ্রাম পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলে পঞ্চায়েত দপ্তরের ধারণা।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *