টুডে নিউজ সার্ভিসঃ শিয়ালদা স্টেশন পেল আরও একটি গেট। দক্ষিণ শাখার দিকে খুলে গেল এই প্রবেশদ্বার৷ ভিড় সামলাতে শিয়ালদা স্টেশনে বড় পদক্ষেপ। সোমবার থেকে এই গেট দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন যাত্রীরা। এতদিন পর্যন্ত স্টেশনে প্রবেশ করার এবং বাইরে বেরনোর একটিমাত্র প্রধান গেট ছিল। তাই এই দ্বিতীয় গেট চালু হওয়ায় যাত্রীদের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা উত্তর শাখার প্রফুল্লদ্বারও খুলে যাবে এই বছরই।
শিয়ালদা স্টেশন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এতদিন স্টেশনে প্রবেশ ও বেরনোর একটি প্রধান গেট থাকায় দিনের ব্যস্ত সময়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যেত। তাতে যাত্রীদের প্রবেশ ও স্টেশন থেকে বেরনোর ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিত। ভিড়ও হয়ে যেত গেটের মুখে। এছাড়াও অন্যদিকে যাত্রীদের অনেকটা ঘুরপথে স্টেশনে পৌঁছতে হত। ওয়েস্ট ক্যানেল রোড বা পার্সেল রোডের দিক দিয়ে এই নয়া গেটটি খুলে যাওয়ার ফলে বেলেঘাটা রোড, শ্যামবাজার বা সল্টলেক থেকে আসা যাত্রীদের আর ঘুরপথে স্টেশনে পৌঁছতে হবে না।
এর আগে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড দিয়ে যানজট ঠেলে শিয়ালদা স্টেশনে প্রবেশ করতে হত ওই দিককার যাত্রীদের। এর ফলে দূরপাল্লার ট্রেন ধরার ক্ষেত্রে বেশ বেগ পেতে হত যাত্রীদের। এবার তার থেকে অনেকটা রেহাই মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এবার তাঁরা সরাসরি ওয়েস্ট ক্যানাল রোড দিয়ে ঢুকে আসতে পারবেন স্টেশন চত্বরে। সদ্য নির্মিত এই নয়া গেটের নিরাপত্তাও বেশ আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। শহর ও শহরতলির প্রায় ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন ব্যবহার করেন শিয়ালদা স্টেশন। সপ্তাহে যেকোনো দিনে শিয়ালদা গেলে যাত্রীদের ব্যস্ততার ছবির পাশাপাশি, লোকাল ট্রেনে গাদাগাদি করে যাত্রীরা যাতায়াত করছেন সেই ছবিও নজরে আসে। তাই এই দ্বিতীয় গেটটি যে যাত্রী ভিড় সামাল দিতে অনেকটাই সাহায্য করবে তা বলাই বাহুল্য। শিয়ালদা স্টেশনের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “ভারতের সবথেকে জনবহুল এছাড়াও ওই দিকের রাস্তায় গজিয়ে উঠেছে বহু দোকানপাট। এর ফলে এই পথ দিয়ে হাঁটতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হত। তাই এই রাস্তাকে পরিষ্কার করে পথ বড় করা হয়। পাশাপাশি আরও সুসজ্জিত দোকানপাট তৈরী করার কাজ চলছে । গেটটিকে নতুনভাবে করা হচ্ছে। রাস্তাও সংস্কার করা হচ্ছে। বড় করা হয়েছে হাঁটাচলা করার পথও। ইতিমধ্যেই কাজ শেষের দিকে। খুব দ্রুত আবারও চালু হয়ে যাবে প্রফুল্লদ্বার। একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “আর কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে কাজ। এলিভেটেড করিডোরও হচ্ছে। আশা করা যায় যে, এই বছরের মধ্যে নতুন রূপে খুলে যাবে ওই গেটটিও।” স্টেশনে প্রবেশ এবং বাহির পথে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি যাতে যাত্রীদের সুবিধা হয়, তাই শিয়ালদা দক্ষিণ স্টেশনের দিকে এই গেট তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে দুর্গাপুজোর সময় শহরতলি থেকে বহু মানুষ শিয়ালদা স্টেশন হয়ে শহরে আসেন ঠাকুর দেখতে। তাঁদের অনেকটাই সুবিধা হবে। এই গেটটি অনেকটা চওড়া। যেহেতু একটি নতুন গেট তাই এখানে নিরাপত্তা নজরদারি আরও অনেক বেশি মজবুত। ২৪ ঘন্টাই নজরদারি চালানো হবে।”
অন্যদিকে শিয়ালদা স্টেশনের প্রফুল্লদ্বার দিয়েও এবছরই যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। শিয়ালদা স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন এই প্রফুল্লদ্বার। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গেট। শিয়ালদা স্টেশন থেকে বেরিয়ে প্রফুল্লদ্বার ধরে এগিয়ে গেলে পৌঁছে যাওয়া যাবে রাজাবাজার, নীলরতন হাসপাতাল, সুরেন্দ্রনাথ কলেজ, কলেজ স্ট্রিট-সহ বিদ্যাপতি সেতু অর্থাৎ শিয়ালদা ফ্লাইওভারে।
বেশ কয়েক বছর হল বন্ধ এই প্রফুল্লদ্বার। কোভিডের সময় যাত্রী সমাগম সামাল দিতে এই গেটটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। যেহেতু শিয়ালদা স্টেশন চত্বর সাজিয়ে তোলা হচ্ছে, তাই এই দিকটি বন্ধ রেখে চলছে স্টেশন চত্বর নতুনভাবে তৈরির কাজ। এই গেটটিকে একেবারে ভেঙে ফেলা হয়েছে। কারণ প্রফুল্লদ্বারের বাহির পথের দৈর্ঘ্য কম ছিল।
এছাড়াও ওই দিকের রাস্তায় গজিয়ে উঠেছে বহু দোকানপাট। এর ফলে এই পথ দিয়ে হাঁটতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হত। তাই এই রাস্তাকে পরিষ্কার করে পথ বড় করা হয়। পাশাপাশি আরও সুসজ্জিত দোকানপাট তৈরী করার কাজ চলছে। গেটটিকে নতুনভাবে করা হচ্ছে। রাস্তাও সংস্কার করা হচ্ছে। বড় করা হয়েছে হাঁটাচলা করার পথও। ইতিমধ্যেই কাজ শেষের দিকে। খুব দ্রুত আবারও চালু হয়ে যাবে প্রফুল্লদ্বার। একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “আর কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে কাজ। এলিভেটেড করিডোরও হচ্ছে। আশা করা যায় যে, এই বছরের মধ্যে নতুন রূপে খুলে যাবে ওই গেটটিও।”
