টুডে নিউজ সার্ভিস, দুর্গাপুরঃ সরকারি জমি বিক্রির প্রতিবাদ করাই মারধরের অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূল দিকে। উত্তেজনা দুর্গাপুর থানার গোপালমাঠে। ভিত্তিহীন অভিযোগ পাল্টা দাবি তৃণমূলের। দুর্গাপুরের গোপালমাঠের বনগ্রাম এলাকার ছোট্টু বাউরি প্রতিবাদী হওয়াতেই তাকে মেরে ধরে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা, স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে অল্প বিস্তর জখম স্ত্রীও। মেইল মারফত অভিযোগ দায়ের দুর্গাপুর থানায়। জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার পড়ে থাকা জমিতে বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। সরকারী এই জমি প্লট করে করে বিক্রি হচ্ছিল, প্রতিবাদী হওয়াতেই বিপদ ঘনিয়ে এলো ছোট্টুর জীবনে। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত লোকজনই নাকি এই ঘটনায় জড়িত, দুর্গাপুর থানায় মেইল মারফত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করে ছোট্টুর বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ অভিযুক্তদের। দুর্গাপুরের গোপালমাঠ সংলগ্ন বনগ্রাম এলাকায় রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার পড়ে থাকা একটি জমি রয়েছে। যার পাশে একটি পুকুরও রয়েছে। ছোট্টুর অভিযোগ, প্লট করে করে সেই জমি মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিক্রি চলছে, রীতিমতো ঐ জমিতে বাড়িও তৈরি হচ্ছে, আর এই অন্যায়য়ের প্রতিবাদ করাটাই ছিল ছোট্টুর অপরাধ। রীতিমতো এলাকারই কিছু লোকজন দলবল নিয়ে গিয়ে রবিবার ছোট্টুর বাড়িতে চড়াও হয়, মারধর করা হয় তাকে, গুরুতর জখম অবস্থায় ছোট্টুকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ হামলাকারীরা তৃণমূল আশ্রিত। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্তরা।
চিকিৎসাধীন ছোট্ট বাউরী অভিযোগ, “তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সরকারি জমি বিক্রি করে দিচ্ছিল। আমরা তারই প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই জন্যই আমার উপর চড়াও হয়েছে। মাধব জয়ন্ত সহ বেশ কয়েকজন আমার ওপর হামলা চালায়। এরা সকলেই তৃণমূলের সাথে যুক্ত।” পাল্টা অভিযোগ করে জয়ন্ত বাউরী বলেন, “আমরা জমিতে বাড়ি বানাচ্ছিলাম। ছোট্ট বাউরী বলছে সেখানে আমাদেরও জায়গা আছে। সে আমাদের কাজে বাধা দেয়। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের ওপর হামলা চালায়। উল্টে আমাদের নামেই মারধরের মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”
