Breaking News

মহাকুম্ভের সর্বকনিষ্ঠ সাধু গোপাল গিরি, ভগবানই তাঁর জ্যাকেট তাই কনকনে  ঠান্ডাতেও সে স্বাভাবিক থাকতে পারে

টুডে নিউজ সার্ভিস, কলকাতাঃ আগামী ১৩ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ মেলা। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিভিন্ন আখড়ার সাধু-সন্তরা ইতিমধ্যে প্রয়াগরাজে হাজির হতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে বড় সংখ্যায় নাগা সাধুদের উপস্থিতিও দেখা যাচ্ছে, তবে সবার দৃষ্টি রয়েছে ছোট্ট সাধু গোপাল গিরির ওপর। তিনি নাগা সম্প্রদায়ের। বর্তমানে গোপাল গিরির বয়স ৮ বছর। ইতিমধ্যে ৮ বছর বয়সি এই সাধুর দেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভের সর্বকনিষ্ঠ সাধু গোপাল গিরি মূলতঃ হিমাচল প্রদেশের চম্পার বাসিন্দা। একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গোপাল গিরি জানিয়েছেন নানা কথা। তাঁর সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে ছোটবেলায় তিনি কিভাবে ঘর ছাড়েন এবং আধ্যাত্মিকতার পথে আসেন।
প্রসঙ্গতঃ নাগা সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসীরা পার্থিব জগতের সব কিছুই ত্যাগ করেন। সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় থাকেন তাঁরা। এত ঠান্ডাতেও গোপাল গিরি জানিয়েছেন যে তাঁর কোনও অস্বস্তি হয় না। ভগবানই তাঁর জ্যাকেট। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভগবানের প্রতি সর্বদা সমর্পিত থাকাই, তাঁর জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য।
গোপাল গিরি বলেন, ‘‘আমাকে কোনও মহল থেকে ভুল বুঝিয়ে সন্ন্যাসী বানানো হয়নি, একজন সাধুকে কেউ কখনও ভুল বোঝাতে পারেন না। আমি নিজের ইচ্ছায় সন্ন্যাস জীবন বেছে নিয়েছি। সাধু হওয়া আমার জীবনের ইচ্ছা ছিল। শুধুমাত্র ভগবানের ভজন-কীর্তন করব বলেই আমি সন্ন্যাসী হয়েছি।’’ আট বছর বয়সি এই সাধু আরও বলেন, ‘‘খেলা করা, ঘুরে ঘুরে বেড়ানো বাচ্চাদের স্বভাব কিন্তু আমার ভালো লাগে ঈশ্বরের ভজনে সর্বদাই মগ্ন থাকতে। আমি ভগবান শিব ও সূর্যদেবের উপাসনা করি। আমার তিন গুরুই বিভূতি লাগিয়ে সমাধিস্ত হয়েছেন। আমি বিদ্যালয়ে ভর্তিও হয়েছিলাম। কিন্তু আমি গুরুকুল ব্যবস্থার শিক্ষা নিতে চেয়েছিলাম। তাই আমি সাধু হয়েছি। আমি কখনও স্কুল-কলেজে পড়ার ভয়ে ঘর ছাড়িনি‌। গুরুকুলে বাচ্চাদেরকে জোর করে নয় বরং তাঁদেরকে ভালোবেসে শিক্ষা প্রদান করা হয়।’’
তাঁর পিতামাতার বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা  করা হলে গোপাল গিরি বলেন, ‘‘বাবা মায়ের ব্যাপারে কেন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন! ওনাদের আজ্ঞা নিয়েই আমি সন্ন্যাসী হয়েছি। যে কোনও বাচ্চা যদি সন্ন্যাসী হতে চায়, তাহলে তাঁদেরকেও পিতামাতার নির্দেশ নিতে হবে। আমি আরও ছোট বয়সে নিজের বাবাকে বলেছিলাম যে আমি সন্ন্যাসী হব। পিতা ও মাতা দুজনের আজ্ঞা নিয়েই আমি সন্ন্যাসী হয়েছি।’’
জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে গোপাল গিরির বাবা-মা গুরুদক্ষিণা স্বরূপ তাঁদের পুত্রকে সঁপে দেন গুরুর কাছে। সেই সময়ে বিধির-বিধান অনুসারে সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষিত করা হয় গোপাল গিরিকে। পৃথিবীর অন্যতম বড় ইভেন্টের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এখন গোপাল গিরি। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে যে মহা কুম্ভমেলা শুরু হতে চলেছে সেখানেই দেখা মিলবে এই ছোট্ট সন্ন্যাসীর।

About Prabir Mondal

Check Also

প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে যুবককে কুপিয়ে খুন, গ্রেফতার ১ মহিলা

টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ প্রকাশ্য রাস্তায় দিনে দুপুরে কুপিয়ে খুন এক ব্যক্তিকে। এক মহিলার হাতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *