টুডে নিউজ সার্ভিসঃ সোমবারই গোটা দেশে এই বছরের নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার আগে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে। দিনরাত এক করে দিয়ে খেটে চলেছেন সব রাজ্যের মুখ্য-নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের সকলেই। কিন্তু, তার আগেই যে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা নিয়ে এবার বড় প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী আর সেই বৈঠকেই তিনি জেলাশাসকদের বিদ্রুপ করে বলেন, “বিগত একমাস ধরে যে ভোটার তালিকা সংশোধন করার কাজ হয়েছে তাতে তিনি পরিস্কার জানেন অধিকাংশ জায়গাতেই কোনো সরকারি কর্মী বসেই নি কাজ করার জন্য। এটা কোনোভাবেই বরদাস্ত নয়।”
যেখানে নির্ভুল ভোটার তালিকা নিয়ে বারবার সকলেই অভিযোগ তুলছেন তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে রীতিমতো যে বড় প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কারণ, যতদিন যাচ্ছে ততই একের পর সন্ত্রাসবাদীরা ধরা পড়ছে প্রায় রোজ এই বাংলায়। অন্যদিকে মৃত ভোটার এবং ভুয়ো ভোটার নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ সব মিলেমিশে যেন একাকার হয়ে গিয়েছে। তারপরই ফের কড়া বার্তা দিয়ে জানায় নির্বাচন কমিশন, আর কোনো ভুল এবং গাফিলতি বরদাস্ত করা যাবে না, অন্যথায় কমিশন কড়া পদক্ষেপ করতে পিছ-পা হবে না। এখন প্রশ্ন হল সত্যিই যদি সরকারি কর্মচারীরা এই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ না করে থাকেন তাহলে কি নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে সক্ষম হবে ?
যদিও এক্ষেত্রে কমিশন সূত্রে খবর, যারা এই ভোটার তালিকা সংশোধনের নিজেদের ভোটার কার্ডের তথ্য সংশোধন করিয়েছেন তাঁদেরটাই শুধু সংশোধন হবে বাকিদের কিছুই হবে না। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে তাহলে নির্ভুল ভোটার তালিকা থেকেই যাবে অন্ততঃ এই রাজ্যে। কারণ, মৃত ভোটারের নাম কিন্তু থেকেই যাচ্ছে এই ভোটার তালিকায়। তারমানে রাজ্যে শাসকদল যে বারবার নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙ্গুল তোলে সেই জায়গা থেকে এবার আর কোনো অভিযোগই জানাতে পারবে না। কিন্তু যে ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তাতে বিরোধীদের হাতে যেন নতুন করে ব্যাট তুলে দিলেন হাঁকিয়ে ছক্কা মারার জন্য।
Social