অপূর্ব দাসঃ ঘরে ঘরে ভাইবোনের ভাইফোঁটা। আবার ঘরের বাইরে ভাইফোঁটা। বর্ধমান সদর প্যায়ারা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে ঘরের বাইরে ভাইফোঁটার আয়োজন হয়।ভাইফোঁটার দিনে শাঁখারি পুকুর এলাকায় সদরঘাট রোডের পাশে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রায় একশ জন শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষকে নিয়ে পালন করলো মর্মস্পর্শী ভাতৃদ্বিতীয়া। অপরের সাহায্য পেয়ে জীবন নির্বাহ করা বয়স্ক মানুষদের অনুষ্ঠানে সামিল করে ভাইফোঁটার সূচনা হয় সাংবাদিক বন্ধুদের ফোঁটা দেওয়ার মাধ্যমে। ভাতৃদ্বিতীয়ার নিয়ম মেনেই বোনেরা ফোঁটা দেয় ভাইয়ের কপালে । বোনেদের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয় স্টিলের বোতল, বোঝানো হয় দীর্ঘদিন প্লাস্টিকের বোতলে জল খাওয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে , সাথে ভাইদের দেওয়া হয় পোশাক। ভাইফোঁটা উপলক্ষে আয়োজন ছিল মধ্যাহ্নভোজনের ও, মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, শাকভাজা, সবজি, মাংস, মিষ্টি ইত্যাদি। বরিসন বিবি ফোঁটা দিলেন বাবলু রায়কে, হিরালাল রায় ফোঁটা নিলেন তসলিমা বিবির কাছে এমনি ছিলেন মনোয়ারা বিবি, রানি সরেন, লক্ষী কর্মকার প্রমুখরা। আনন্দ অশ্রু সহযোগে ওনারা আশীর্বাদ করেন সমস্ত সংস্থার সদস্য সদস্যাদের।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাটগোবিন্দপুর এম সি হাই স্কুলের সহশিক্ষক ডঃ তুষার কান্তি মুখোপাধ্যায় মহাশয়, ডি পি এইচ এন ও করবী দাস মহাশয়া , বেলকাস গ্রাম পঞ্চায়েতের সুপারভাইজার রিতা মুখার্জী এবং হরিসভা হিন্দু হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা অঞ্জলি ব্যানার্জি মহাশয়া।
সংস্থার সম্পাদক প্রলয় মজুমদার জানান, “আমরা পালন করলাম ভাই বোন ফোঁটা অনুষ্ঠান অর্থাৎ সাধারণত দেখা যায় বোনেরা ভাইদের মঙ্গল কামনায় ফোটা দেয় ভাইদের কপালে, একটু ব্যতিক্রমী ভাবে ভাইয়েরাও ফোঁটা দিল বোনেদের কপালে বোনদের মঙ্গল কামনায়।” তিনি আরো বলেন, “উৎসবের দিনে আমাদের সচেতন থাকতে হবে এবং পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে হবে কারণ ধরিত্রী মাতা ভালো থাকলেই তার সন্তান অর্থাৎ আমরা ভাই-বোনেরাও ভালো থাকবো।”
বর্ধমান সদর প্যায়ারা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির বিভিন্ন কর্মসূচীতে সক্রিয় ভাবে থাকেন জয়ী সাহা, অঙ্কিতা সাম, মনিষা মন্ডল, ঐন্দ্রিলা সাধুখাঁ, মনিষা দাস, দ্যুতি কোনার, চৈতালী ঘোষ, বিক্রম পাঁজা এবং অন্য সদস্যরা। ভাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠানও এনারা সুন্দর ভাবে পরিচালনা করেছেন।
ঘরের বাইরে ভাইফোঁটা

Leave a Comment